ইউক্রেনে ‘পরিকল্পনার প্রথম ধাপ’ বাস্তবায়ন করেছে রাশিয়া। পরবর্তী লক্ষ্য পূর্ব ইউক্রেন। রাশিয়ার দাবিকৃত ‘বিশেষ অভিযান’ পরিচালনার পর এই প্রথম দেশটির পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলো। দেশটির এক শীর্ষ জেনারেল ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক কৌশল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এ কথা জানান। শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রুশ সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রধান ডেপুটি চিফ কর্নেল জেনারেল সের্গেই রুদস্কয় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘রাশিয়ার সামরিক পরিকল্পনার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের পরবর্তী প্রাথমিক লক্ষ্য পূর্ব ইউক্রেন।’
ওই সংবাদ সম্মেলনে রুদস্কয় বলেন, ‘সাধারণভাবে বলতে গেলে, অপারেশনের প্রথম ধাপের মূল কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস করা হয়েছে। ফলে আমরা দনবাস মুক্ত করা এবং ইউক্রেনে আমাদের যে মূল লক্ষ্য তা অর্জনের দিকে মনোনিবেশ করেছি।’
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অগ্রগতি কিয়েভ ও খারকিভের মতো প্রধান শহরগুলোর কাছে এসে স্থবির হয়ে গেছে বলেও উঠে এসেছে রুদস্কয়ের মন্তব্যে। এমনকি, রাশিয়াও ইউক্রেনের আকাশসীমায় নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
রুদস্কয় আরও বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষ ও বিশেষজ্ঞরা ভাবছেন, আমরা ইউক্রেনের যেসব শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছি, সেখানে আসলে কী করছি। তাঁদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, সেখানে আমরা যে ধরনের কার্যকলাপ পরিচালনা করছি, তা মূলত ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সামরিক অবকাঠামো, সরঞ্জাম, ইউক্রেনের সৈন্যদের ক্ষতি করার লক্ষ্যে। রাশিয়ার সেনাবাহিনী দনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত না করা পর্যন্ত ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে দেবে না।’
প্রসঙ্গত, পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল দনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের প্রাক্কালে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল।