কৃষ্ণ সাগর এবং বাল্টিক অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে ন্যাটো। সামরিক দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালীকে দেশটিকে বিভিন্ন দিক থেকে একযোগে পারমাণবিক চাপ এবং সাইবার আক্রমণের মধ্যে রাখা হবে। ন্যাটোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এক বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে ন্যাটোর সঙ্গে যুদ্ধের মতো উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক চায় না বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
ন্যাটোর অভিযোগ, রাশিয়া নিত্য নতুন অস্ত্র তৈরি করছে। মহাশূন্যকে সামরিক কাজে ব্যবহার করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে ন্যাটো সদস্য এবং আমাদের মিত্রদের উৎপাত করছে। কিন্তু দায়িত্ব-জ্ঞানহীন পদক্ষেপের মাধ্যমে ন্যাটো ইউরোপকে অস্থিতিশীল করছে বলে উল্টো অভিযোগ করেছে মস্কো।
সব দিক থেকে আক্রমণ করা হলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সহসা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে মনে করেন অবসরে যাওয়া সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা বেন হজেস। তিনি রয়টার্সকে জানান, ন্যাটোর কৌশলগত পরিকল্পনা ঢেলে সাজানো দরকার। অনেকে যে রকম মনে করেন, ততটা শিগগির ন্যাটো রাশিয়া আক্রমণ করবে বলে আমার মনে হয় না। তবে মস্কোকে কাবু করতে হলে কৃষ্ণ সাগর ও বাল্টিক অঞ্চলের দিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে।
এদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জোটটি চীনকে কখনো সরাসরি শত্রু বা মাথার ব্যথার করণ বলে মনে করেনি। কিন্তু ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত গত জুনের শীর্ষ সম্মেলনে চীনের সামরিক উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ন্যাটো। তাই ইন্দো-প্যাসিফিকেও নিজেদের তৎপরতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জোটটি।