হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

সার্বিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ: পার্লামেন্টে স্মোক গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছুড়ল বিরোধীরা

সার্বিয়ার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যায়, পার্লামেন্টের ভেতরে কালো ও গোলাপি রঙের ধোঁয়ায় ভরে গেছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ছাত্র বিক্ষোভের সমর্থনে সার্বিয়ার পার্লামেন্টে স্মোক গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছেন বিরোধী আইনপ্রণেতারা। যা দেশটির চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টে হঠাৎ এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এতে এক আইনপ্রণেতা (সংসদ সদস্য) স্ট্রোক করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা গুরুতর।

চার মাস ধরে ছাত্রছাত্রীদের নেতৃত্বে চলা বিক্ষোভ সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেসান্ডার ভুসিচের এক দশকের শাসনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। দুর্নীতি ও সরকারের অদক্ষতার অভিযোগে শিক্ষক, কৃষকসহ বিভিন্ন স্তরের নাগরিক এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন।

আজ দেশটির পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন সার্বিয়ান প্রোগ্রেসিভ পার্টির (এসএনএস) নেতৃত্বাধীন জোট আইনসভার অধিবেশনে এজেন্ডা অনুমোদন করে। এরপরই বিরোধী দলের কয়েকজন আইনপ্রণেতা স্পিকারের দিকে এগিয়ে যান এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন।

কিছু আইনপ্রণেতা স্মোক গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেন। দেশটির টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যায়, পার্লামেন্টের ভেতরে কালো ও গোলাপি রঙের ধোঁয়ায় ভরে গেছে।

স্পিকার আনা ব্রনাবিচ জানান, এ ঘটনায় দুই আইনপ্রণেতা আহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে এসএনএসের আইনপ্রণেতা জাসমিনা ওব্রাদোভিচ স্ট্রোক করেছেন এবং তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে এমন পরিস্থিতিতেও তিনি বলেন, সংসদ তার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এবং সার্বিয়াকে রক্ষা করা হবে।

এদিকে বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টে শিস ও হুইসেল বাজিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং ‘সাধারণ ধর্মঘট’ ও ‘বিচার চাই’ লেখা ব্যানার প্রদর্শন করেন।

সম্প্রতি সার্বিয়ার একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আজ যখন পার্লামেন্টের ভেতরে বিরোধী আইনপ্রণেতারা স্মোক গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেন, তখন সংসদ ভবনের বাইরে আন্দোলনকারীরা স্টেশনের ঘটনায় নীরবতা পালন করছিলেন।

বিক্ষোভকারীরা ১৫ মার্চ সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে বৃহত্তর সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।

অন্যদিকে সরকার দাবি করছে, পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সার্বিয়াকে অস্থিতিশীল করতে এবং সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে।

ছাত্রদের দাবির ভিত্তিতে আজ পার্লামেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর আইন পাস করতে চেয়েছিল সরকার। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুসেভিচের পদত্যাগের বিষয়টি আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে পার্লামেন্টে সরকারের অন্য এজেন্ডা নিয়ে বিরোধীদের তীব্র আপত্তির কারণে এই সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ইসরায়েলকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ায় ইউরোভিশন বয়কট ৪ দেশের

খুবই সাধারণ খাবার খান পুতিন, দেশে-বিদেশে খাদ্যতালিকায় যা থাকে

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

রাশিয়ার ক্ষমতা দেখাতেই গুপ্তচর স্ক্রিপালকে বিষ প্রয়োগে হত্যার নির্দেশ দেন পুতিন

কড়া নিরাপত্তায় পুতিনের ভারত সফর, রাশিয়া থেকে উড়িয়ে আনা হলো বুলেটপ্রুফ লিমুজিন

যেভাবেই হোক দনবাস দখলে নেবে রাশিয়া: পুতিন

যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ হচ্ছে বাংলাদেশি–পাকিস্তানি ভর্তি, প্রায় ১২ হাজার ভিসা আবেদন বাতিল

স্মার্টফোন নেই পুতিনের, ব্যবহার করেন না ইন্টারনেটও, কিন্তু কেন

ইউরোপ চাইলে রাশিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত—পুতিনের এই মন্তব্যে ব্রিটেনের তীব্র প্রতিক্রিয়া