চীন তার পরমাণু অস্ত্র নির্মাণ প্রকল্পকে দ্রুত সম্প্রসারণ করছে। দেশটি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এক হাজারেরও বেশি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। গতকাল বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়।
‘মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভেলপমেন্টস ইনভলভিং দ্য পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না (পিআরসি) ২০২১’ নামের এই প্রতিবেদন গতকাল বুধবার প্রকাশ করে পেন্টাগন। তাইওয়ান দ্বীপে চীনা দখলদারি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব যখন প্রায় চরম পর্যায়ে, সে সময় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল পেন্টাগন।
পেন্টাগনের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, পারমাণবিক ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিসহ বোমা উৎক্ষেপণের জন্য জল, স্থল ও আকাশপথে প্ল্যাটফর্ম নির্মাণে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে চীন। প্রতিবছর দ্বিগুণ হারে চীন নানা পাল্লার পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে।
সেখানে বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে পারমাণবিক প্রকল্প উন্নয়নে বড় মাত্রায় বিনিয়োগ শুরু করেছে চীন। ওই বছর দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে ৭০০ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে হাজারের বেশি পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর লক্ষ্য নিয়েছিল।
পেন্টাগনের বক্তব্য, আক্রমণের জন্য চীন এভাবে পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি করছে না। তারা শক্তির পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে টেক্কা দিতে চাইছে। ক্ষমতার ভারসাম্যে নিজেদের ওজন অনেকটা বাড়িয়ে নিতে চাইছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ তৈরি করে রাখতে চাইছে। চাইলে তারাও যে সমান শক্তি নিয়ে আক্রমণ চালাতে পারে, সেই বার্তা দিয়ে রাখছে।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন গত কয়েক বছর ধরেই শক্তি বৃদ্ধি করছে। একদিকে চীনের নৌবহরকে যেমন ঢেলে সাজানো হচ্ছে, তেমনি ওই অঞ্চলে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে চীন। এ নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। বাইডেন আসার পরেও এ বিষয়ে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি।