অভিযান চালিয়ে চীনের অন্যতম বৃহৎ এক আন্ডারগ্রাউন্ড চার্চের বেশ কয়েকজন পাদ্রিকে আটক করেছে পুলিশ। চার্চের এক মুখপাত্র ও আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২০১৮ সালের পর চীনের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে এটিই সবচেয়ে বড় দমন অভিযান।
চীনে আন্ডারগ্রাউন্ড চার্চ বলতে বোঝানো হয়, সেসব ক্যাথলিক চার্চকে, যারা রাষ্ট্র অনুমোদিত ক্যাথলিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়।
গত সপ্তাহে বেইজিং বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গির্জায় এই অভিযান চালানো হয়।
ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত রোববার এক বিবৃতিতে আটক পাদ্রিদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান।
চীনা সরকারের অনুমোদন না থাকা জায়ন চার্চের প্রতিষ্ঠাতা যাজক জিন মিংরিকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেইহাইয়ে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তাঁর মেয়ে গ্রেস জিন এবং চার্চের মুখপাত্র শন লং এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুখপাত্র শন লং রয়টার্সকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলেন, ‘যা ঘটল, তা এই বছরের ধর্মীয় নিপীড়নের নতুন ঢেউয়ের অংশ। পুলিশ দেড় শতাধিক উপাসককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রোববারের প্রার্থনার সময় হয়রানিও বাড়িয়েছে তারা।’
গত মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ঘোষণা দেন, ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে এবং ধর্মের রীতিনীতি এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মূল্যবোধ, ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।