ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টায় গুয়াংফু এলাকায় আঘাত হানে রাগাসা নামের সুপার টাইফুনটি। সবশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ক্যাটাগরি পাঁচের এই হ্যারিকেনে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ আরও ১২৪ জন।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের বেশির ভাগই প্রবীণ। হুয়ালিয়েন কাউন্টি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, এই ঝড়ে গুয়াংফু এলাকার আর ৩৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাইওয়ানিজ সংবাদমাধ্যম সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ভারী বর্ষণের চাপে গুয়াংফু টাউনশিপের মাতাই’আন খাল ব্যারিয়ার লেক উপচে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে।
হুয়ালিয়েন কাউন্টির কিছু এলাকায় ৭০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য শহরে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫০০-৬০০ মিলিমিটার। প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, সব মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীকে জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে যুক্ত করা হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মাঠ পর্যায়ের উদ্ধারকর্মীদেরও নিজেদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
এমন পরিস্থিতিতে তাইওয়ানে দেড় শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কিছু রেললাইন ও ফেরি চলাচলও স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে, হংকংয়েও বাতিল করা হয়েছে সাত শতাধিক ফ্লাইট। শহরটিতে আজ বুধবার সকাল থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘টি১০’ জারি রয়েছে। সেখানে ঘণ্টায় ১৫৩ কিলোমিটার বেগের ঝোড়ো হাওয়া বইছে। দমকা হাওয়ার বেগ ১৮৪ কিলোমিটার ছাড়িয়েছে। জলোচ্ছ্বাস ল্যাম্পপোস্টের সমান উচ্চতায় পৌঁছে গেছে বলেও জানা গেছে।
চীনের গুয়াংডং প্রদেশেও ইতিমধ্যে ১৮ লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ বিকেল নাগাদ টাইফুনটি প্রদেশটিতে আঘাত হানতে পারে। তাই সবাই যাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।