ভূমিকম্প বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে কারিগরি এবং খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। আফগানিস্তানের পাকতিকা এবং খোস্ত প্রদেশে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পর্যাপ্ত সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হয়েছে। স্থানীয়রা হাত দিয়েই ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে—তাঁরা এরই মধ্যে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি কারিগরি কমিটি পাঠিয়েছে। যাতে ভারত থেকে পাঠানো ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সমন্বয় করতে পারেন। এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটি থেকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রাক আফগানিস্তানে পৌঁছেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে তাঁরা দুটি ফ্লাইটে এরই মধ্যে ২৭ খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছে। এই সহায়তা আফগানিস্তানে থাকা আন্তর্জাতিক রেডক্রস সোসাইটিকে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক টুইটে বলেছেন, ‘ভারতই প্রকৃত প্রথম সাড়া দানকারী।’
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা আফগানিস্তানের ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় সহায়তা দেওয়ার জন্য সহায়তা সামগ্রী পাঠিয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পাঠানো ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে তাঁবু, তারপুলিন, কম্বল এবং জরুরি ওষুধ।’
এই ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালিবান সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহায়তা চাইলেও এখনো সেভাবে সাড়া মেলেনি।
এদিকে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ব্যাপক খাদ্যসংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে কলেরা রোগ ছড়িয়ে পড়ার। দেশটির ভূমিকম্প কবলিত পাকতিকা প্রদেশে দেখা গেছে, সেখানে জীবিত মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার নেই। মাথা গোঁজার আশ্রয় নেই। পুরো এলাকায় কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।