হোম > বিশ্ব > এশিয়া

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলায় ৬০ জান্তা সৈন্যের মৃত্যু

মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে জান্তাবিরোধী হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত তিন দিনে জান্তাবাহিনী টার্গেট করে এবং তাদের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে বিদ্রোহীদের হামলার ঘটনায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অন্তত ৬০ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাখাইন ও মুন রাজ্য এবং সাগাইন, মান্দালয় ও তানিনথারি অঞ্চলে এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) সশস্ত্র শাখা পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এই হামলাগুলো চালিয়েছে। 

গতকাল রোববার সকালে সাগাইন অঞ্চলের মায়াং শহরের পাশে সাগাইন-মনিওয়া মহাসড়কে জান্তা বাহিনীর ছয়টি গাড়ির একটি বহর যাচ্ছিল। এ সময় ৬টি মাইনের বিস্ফোরণ ঘটায় জান্তা বিরোধী গোষ্ঠী। এতে ১৫ জান্তা সেনা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ছাড়া, জান্তা সরকারের একটি আদালতেও বোমা হামলা চালানোর দাবি করেছে পিডিএফ। গত রোববার সন্ধ্যায় রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত মাইনের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ইয়াঙ্গুনের সানচাং টাউনশিপের বাহো রোডের একটি আদালতে। 

এদিকে, ইরাবতীর আরেকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে—ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময় পার করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ব্যাটালিয়নের সেনাদের যুদ্ধ করার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বয়স্ক ও তরুণ সেনাদের অনুপাত বাড়ছে। কমে যাচ্ছে মনোবল। সেনাবাহিনী এখন বিমানবাহিনীর সহায়তা ছাড়া যুদ্ধ করতে সক্ষম নয়। 

এদিকে, মিয়ানমারে গত বছরের ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের আড়াই মাসের মাথায় গঠিত হওয়া জাতীয় ঐক্যে সরকার (এনইউজি) দাবি করেছে, তাঁরা যৌথ প্রচেষ্টায় এরই মধ্যে মিয়ানমারের প্রায় ৫৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। জান্তা বাহিনী কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অবৈধ ঘোষিত এমপি ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয় এনইউজি। প্ল্যাটফর্মটি অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির পুরোনো কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। 

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্পেশাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমারের’ সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমারের ৫ শতাংশের কম অঞ্চলে জান্তা সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অন্যদিকে এনইউজি ও তার মিত্ররা নিয়ন্ত্রণ করছে দেশটির প্রায় ৫৩ শতাংশ অঞ্চল। দেশের বাকি অঞ্চলগুলোতে কোনো পক্ষেরই কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নেই। 

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

দেশের টাকমাথার লোকদের বাঁচানোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহরে বোমা ফেলল থাইল্যান্ড

ক্রিপটো চুরি করে এই বছর উত্তর কোরিয়ার আয় ২.২ বিলিয়ন ডলার

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ধর্মীয় বক্তাদের দমনে কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

তাইওয়ানে বিপুল অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন, নিজের বিপদ ডেকে আনছে যুক্তরাষ্ট্র—হুমকি চীনের

জান্তার কাছে এবার মায়ের বেঁচে থাকার প্রমাণ চাইলেন সু চিপুত্র

বন্ডাই বিচে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ দম্পতিও!

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

বন্ডাই বিচ ট্র্যাজেডি: ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টে ফিলিপাইনে গিয়েছিল হামলাকারী বাবা-ছেলে