হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১ হাজার ৩০০ জনে। গত ৭ অক্টোবর স্থানীয় সময় ভোরের দিকে ইসরায়েলে হামাস হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এদিকে ইসরায়েল সরকার হামাসের হামলার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর সমর্থন আদায়ের জন্য নিহত শিশুদের গ্রাফিকস প্রকাশ করছে।
ইসরায়েলের সশস্ত্রবাহিনী জানিয়েছে, হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০০ জনে। এর মধ্যে ২২২ জন ইসরায়েলি সৈন্য। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়ে, ১৯৭৩ সালে মিসর-সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধের পর এবারই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হলো দেশটিতে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলি শিশুদের গ্রাফিক ছবি দেখানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে রক্তাক্ত এক মৃত শিশুর ছবি এবং এক শিশুর পোড়া দেহের ছবি প্রকাশ করেছে। হামাসের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ জাগিয়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে এই ছবি প্রকাশকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব যান অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সেখানে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ এক শিশুর ছবি এবং ভিডিও তাকে দেখানো হয়েছে। ইসরায়েলে সৈন্যদের শিরশ্ছেদ এবং যুবকদের তাদের গাড়ি বা গোপন স্থানে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে উল্লেখ করে ব্লিংকেন বলেন, ‘এই নৃশংসতা কল্পনাতীত। প্রতিটি ছবি যেন হাজার শব্দ বলছে। ছবিগুলোর মূল্য হতে পারে এক মিলিয়ন ডলার।’
বর্বরতা এবং লোমহর্ষক মৃত্যুদণ্ডের ভিডিওর জন্য কুখ্যাত গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে হামাসকে তুলনা করেছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ প্রকাশিত এক পোস্টে বলা হয়েছে, হামাসের দানবদের দ্বারা হত্যা ও পুড়িয়ে ফেলা শিশুদের ভয়ংকর ছবি। হামাস অমানবিক। হামাস হলো আইএস আইএস।
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘হামাসের ভয়ংকর হামলার শিকার হয়েছে শিশুরা। ছবিগুলো সেটাই দেখায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার জানান, হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের শিশুদের শিরশ্ছেদ করছে—এমন ছবি তিনি দেখেছেন। তবে অবশ্য হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে কোনো প্রমাণ দেখায়নি। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এই সপ্তাহের শুরুতে হামাস শিশুদের শিরশ্ছেদ করেছে বলে দাবি করেন। তবে ন্যাটোর মন্ত্রী কিংবা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই দাবির সপক্ষে কিছু বলেননি।