দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও তিনজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে সাতজন। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে। টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। আজ শনিবার দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বেলা ১১টা পর্যন্ত ১ হাজার ৫৬৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর চুংচেং প্রদেশে বাঁধের ওপরে পানি চলে যাওয়ায় ভুক্তভোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কোরিয়া রেলরোড করপোরেশন জানিয়েছে, তারা সব ধীর গতির ট্রেন ও কিছু বুলেট ট্রেনকে থামিয়ে দিচ্ছে। অন্য বুলেট ট্রেনগুলো ধীর গতির কাজের কারণে বিলম্বিত হতে পারে।
এদিকে আজ সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু সামরিক বাহিনীকে সক্রিয়ভাবে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগদান, সরঞ্জাম সরবরাহ ও জনবল সংগ্রহের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ভারতের উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভারী বৃষ্টি আর বন্যায় নাকাল জনজীবন। বন্যার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বৃষ্টি-বন্যা থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন দুর্ঘটনায় শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচল প্রদেশে কমপক্ষে ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত পাঁচ দিনে মারা গেছেন ৪২ জন। ওই রাজ্যে শতাধিক মানুষ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। বন্যার পানিতে গাড়ি, বাস, সেতু ও বাড়িঘর ভেসে যাচ্ছে।