গাঁজার অবাধ ব্যবহারে লাগাম টানতে নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে থাইল্যান্ডের সরকার। তিন বছর আগে গাঁজা বৈধ করার পর এবার এ বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘোষণা দিলেন দেশটির জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুতি। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৪০ দিনের মধ্যে গাঁজা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হবে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে থাই কিংবা বিদেশি নাগরিক যে কাউকে গাঁজা বা সংশ্লিষ্ট পণ্য কিনতে চাইলে তাঁকে চিকিৎসকের সনদ দেখাতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঐতিহ্যবাহী ও বিকল্প চিকিৎসা বিভাগের প্রধান সোমরুয়েক চুংসামান বলেছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে গাঁজা শুধু চিকিৎসার প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে।
২০২২ সালে থাইল্যান্ড এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে গাঁজা বৈধ করেছিল। তখন ধারণা করা হয়েছিল, কৃষি ও পর্যটন খাতে এর সুফল দেখা যাবে। কিন্তু গাঁজা ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণবিহীন বৈধতা দ্রুতই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দেশটিতে গাঁজা সেবনের হার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এটির ব্যবহার ও বিদেশিদের অবাধ সেবন সরকারকে চাপের মুখে ফেলেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, থাইল্যান্ডে গাঁজা আইন এখনো চূড়ান্ত নয়। স্কুলে গাঁজা নিষিদ্ধ, খাবারে গাঁজা ব্যবহারের ক্ষেত্রে লেবেল বাধ্যতামূলক—এমন কিছু খণ্ড খণ্ড নির্দেশনা দেওয়া হলেও সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ এখনো অনুপস্থিত।
এদিকে গাঁজা চোরাচালান রোধে দেশটির বিমানবন্দরগুলোতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। স্যামুই দ্বীপে সম্প্রতি ৩৭৫ কেজি গাঁজাসহ ১৩ বিদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন ব্রিটিশ।
তবে গাঁজা ব্যবহারে এই নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন কিছু উদ্যোক্তা ও গাঁজাসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, প্রাথমিক উল্লম্ফনের পর সেবনের হার অনেকটাই কমে এসেছে।
এখন মন্ত্রণালয় একটি পূর্ণাঙ্গ গাঁজা আইন খসড়া করছে, যা মন্ত্রিসভা অনুমোদনের পর সংসদে তোলা হবে।