জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর হোক্কাইডোতে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে উপকূলীয় শহর কুশিরো এবং নেমুরোকে কেঁপে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জাপানের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে এখন পর্যন্ত কোথাও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। জাপান সরকার কোথাও সুনামি সতর্কতা জারি করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলেছে, ভূমিকম্পটি রাত ১০টা ২৭ মিনিটে আঘাত হেনেছিল। এর উৎপত্তি ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ কিলোমিটার গভীরে।
স্থানীয় গণমাধ্যম এনএইচকেতে সাক্ষাৎকার দেওয়া একজন বিশেষজ্ঞ এক সপ্তাহ আগেই স্থানীয় বাসিন্দারের ভূমিকম্পের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছিলেন।
ভূমিকম্প জাপানে খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার রিং অব ফায়ারে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। এর ফলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভবনগুলো যেন শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে জাপানে কঠোর নির্মাণবিধি রয়েছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প মোকাবিলা করার জন্য দেশটিতে নিয়মিত জরুরি মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
মাত্রই দুদিন আগে ইন্দোনেশিয়ার হালমাহেরা দ্বীপের উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। একই দিনে (বৃহস্পতিবার) তাজিকিস্তানের উত্তরাঞ্চলেও ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। তারও আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ার উত্তর-দক্ষিণ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। গতকাল পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, উভয় দেশে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।