আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৫ জনে, আহত অন্তত ৩ হাজার ৬৮০ জন। দেশটির সরকার প্রকাশ করেছে এই হিসাব। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ। উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোরও চেষ্টা চলছে। রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় সব স্থানে এখনো ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি সামাজিক মাধ্যম এক্সে বলেছেন, পূর্ব আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পে কুনার প্রদেশে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর পাশাপাশি নানগারহার ও লাঘমান প্রদেশেও অনেকে হতাহত হয়েছেন। আফটার শকের কারণে পাথর ধসে পড়ায় দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষ আরও ধসে পড়ার ভয়ে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন।
এদিকে, ত্রাণের মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো।
গত রোববার, ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চল। লন্ডভন্ড হয়ে যায় বেশ কয়েকটি গ্রাম। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের আট কিলোমিটার গভীরে।
এই ভূমিকম্পের দুই দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার আরও একটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে দেশটি। মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ভারতীয় ও ইউরোশীয় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থল হওয়ায় আফগানিস্তান বেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা।