সেনাবিরোধী বিক্ষোভ দমাতে মিয়ানমারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তারহীন ইন্টারনেট সেবা। এরই মধ্যে প্রাণ গেছে পাঁচ শতাধিক বিক্ষোভকারীরা। এ পরিস্থিতিতে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে ‘গেরিলা হামলার’ ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের এক নেতা।
আন্দোলনের নেতা খিন সাডারের এক ফেসবুক পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নেতা লিখেছেন, যতো পারেন গেরিলা হামলা চালান। চলুন আমরা রেডিও শুনি। আর ফোনে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হই।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর অং সান সু চি ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী। সামরিক বাহিনীর দাবি, গত বছরের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি করে জয় পেয়েছে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে মিয়ানমার। দেশটিতে সেনাবিরোধী আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ৫০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঔপনিবেশিক যুগের গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অং সান সু চির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত করা মামলাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুতর। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সু চির ১৪ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে বলে তাঁর আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।