শিগগির পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে রাশিয়া ও ভিয়েতনাম। গতকাল রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দুই দেশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নির্মাণে সম্পূর্ণরূপে পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয় নিরাপত্তাবিধি অনুসরণ করে হবে এবং এর লক্ষ্য হবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করা।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপ্রধান তো লামের মস্কো সফর শেষে এল এই ঘোষণা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি প্রায় এক দশক আগে স্থগিত হওয়া পারমাণবিক প্রকল্পের পরিকল্পনা আবার সক্রিয় করেছে, কারণ, তাদের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। ২০৩০ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে ৬ দশমিক ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের আশা করছে ভিয়েতনাম।
চলতি বছরের শুরুতে ভিয়েতনাম জানিয়েছিল, তারা পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন বিদেশি অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা করবে—যাদের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জ্বালানি তেল ও গ্যাস খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে দুই দেশ। সবকিছু ঠিক থাকলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ভিয়েতনামে সরবরাহ করবে রাশিয়া। এ ছাড়া রাশিয়া ও ভিয়েতনাম একে অপরের ভূখণ্ডে তাদের জ্বালানি কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম সম্প্রসারণেও সহায়তা করবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।