তুরস্কের নতুন ভোটারদের বড় অংশই তাদের বোধ–বিবেচনা হওয়ার পর থেকেই রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখে আসছেন। তাঁর শাসনামলেই তুরস্ক ক্রমশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র থেকে ‘কর্তৃত্ববাদী ইসলামপন্থী’ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বিগত দুই দশকের শাসনে এরদোয়ান ক্রমশ নিজেকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রভাবশালী করে তুলেছেন। তবে তাঁর জন্য ২০২৩ সালের নির্বাচন একটি অগ্নিপরীক্ষায় পরিণত হতে পারে।
তুরস্কের রাজনীতিতে তরুণেরাই একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হয়ে উঠেছেন। ফলে, এই তরুণ তুর্কিরাই আগামী নির্বাচনে এরদোয়ান এবং তাঁর দল একে পার্টির জয়ের ক্ষেত্রে বড় একটি বাঁধা হিসেবে হাজির হতে পারেন। তুরস্কে সম্প্রতি নতুন ভোটার হয়েছেন প্রায় ৬০ লাখ তরুণ, যা মোট ভোটারের প্রায় ১২ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের ধারণা, সামনের নির্বাচনে এরদোয়ান জিততে পারবেন কিনা সেটি অনেকটাই নির্ভর করছে এই তরুণদের সিদ্ধান্তের ওপর। এদের বড় একটি অংশই বেকারত্ব, শিক্ষা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রশ্নে এরদোয়ান সরকারের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ। তবে ক্ষমতায় এরদোয়ান বিরোধীরা আসলেও পরিস্থিতি খুব একটা বদলাবে বলে মনে করেন না তারা।
সম্প্রতি দেশটিতে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ১৮-২৩ বছরের তরুণেরা ন্যায়বিচার, অভিবাসন, চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে মেধার প্রাধান্য ও দুর্নীতিমুক্ত অর্থনৈতিক নীতির বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এরদোয়ানের শাসনের বর্তমান মেয়াদের শেষ মুহূর্তে এসে সম্প্রতি দেশটির অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। গত এপ্রিলে দেশটিতে বেকারত্বের হার ছিল ২০ শতাংশ। জুন মাসে গত ২৪ বছরের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তরুণেরা মনে করছেন, এরদোয়ান ও তারঁ দলের শাসনের কারণে জীবনযাত্রার মান কমছে। এমন মনোভাবের সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বিরোধী দলগুলো। তবে এদের সঙ্গে তরুণদের মতাদর্শিক নৈকট্য় নেই বলেও উঠে এসেছে জরিপে।