শ্রীলঙ্কায় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশটির সরকারি মেডিকেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (জিএমওএ) আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সতর্কতা জারি করেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারির অর্থ হচ্ছে, যেসব রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যসেবার ওপর জনগণ নির্ভর করে থাকে, সেগুলোর মধ্যে এখন শুধু জরুরি পরিষেবাগুলো অগ্রাধিকার পাবে।
শ্রীলঙ্কার শীর্ষ স্বাস্থ্য সংস্থা জিএমওএ জানিয়েছে, গতকাল সোমবার একটি বৈঠকের পর তাঁরা জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জিএমওএর কর্মকর্তারা বলেছেন, সারা দেশে ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবাসামগ্রীর গুরুতর সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যেতে তীব্র সংগ্রাম করছেন।
জিএমওএর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উভয়েই চিকিৎসাব্যবস্থার সম্পূর্ণ ভাঙন রোধে ব্যর্থ হয়েছে।’
তীব্র আর্থিক সংকটসহ খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কার মানুষ কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কা মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। এদিকে সব দলকে সর্বদলীয় সরকারের অংশ হতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।