হোম > বিশ্ব > এশিয়া

ধনী হওয়ার আগে বুড়ো হয়ে যাচ্ছে এশিয়ার জনগণ

যেকোনো দেশের জন্যই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী একটি আশীর্বাদ। এর ফলে দেশটির উৎপাদন, অর্থনীতি ও ভোক্তা বাজার সবই বড় হয়। ফলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। কিন্তু কোনো দেশ যদি এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয় তবে সেই দেশের জন্য অপেক্ষা করে করুণ পরিণতি। ঠিক এই পরিণতিই বহন করতে যাচ্ছে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ। দেশগুলোর মানুষ ধনী হওয়ার আগেই বুড়ো হয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

উদাহরণ হিসেবেই থাইল্যান্ডের কথাই ধরা যাক। ২০২১ সালে দেশটির ১৪ শতাংশ জনগণের বয়স ছিল ৬৫ বছরের বেশি। সাধারণত কোনো দেশের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ যদি ৬৫ বছরের বেশি হয় তবে সেই দেশকে বুড়ো মানুষদের দেশ হিসেবেই পরিগণিত করা হয়। সেই বিবেচনায় থাইল্যান্ডের অবস্থান জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশের মতোই। 

কিন্তু জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের পার্থক্য হলো—২০২১ সালে দেশটির জনসংখ্যার মাথাপিছু জিডিপি ছিল মাত্র ৭০০০ হাজার ডলার যা কোনোভাবেই উন্নত দেশের কাতারে ফেলার মতো নয়। এই অবস্থায় থাই সরকারকে পেনশন, বয়স্ক ভাতাসহ অন্যান্য অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করতে হবে বেশি। ফলে দেশটিকে সামনে আরও বিপদেই পড়তে হবে। কারণ, দেশটির পক্ষে উৎপাদন বাড়ায় এমন খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ কমাতে হবে। 

এই কাতারে কেবল থাইল্যান্ড নয়, এশিয়ার অনেক দেশই রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনও থাইল্যান্ডের মতোই বুড়োদের দেশে পরিণত হওয়ার পথে। জাতিসংঘের হিসাব বলছে, এই দেশগুলো নিম্ন আয়ের থাকতে থাকতেই বুড়োদের দেশে পরিণত হবে। একই ধারা অনুসরণ করবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কাও। ২০২৮ সালে অর্থাৎ আর ৫ বছরের মধ্যেই বুড়োদের দেশে পরিণত হবে। অথচ এই দেশের মানুষের গড় জিডিপি থাইল্যান্ডের জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ। 

থাইল্যান্ডের প্রতিবেশী ভিয়েতনামের মানুষের গড় জিডিপি থাইল্যান্ডের অর্ধেক। এই দেশটির মানুষ থাইল্যান্ডের মানুষের চেয়েও দ্রুত বুড়িয়ে যাচ্ছে। যেখানে থাইল্যান্ডের বুড়ো মানুষের সংখ্যা ১৪ শতাংশে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ২০ বছর সেখানে ধারণা করা হচ্ছে, ভিয়েতনামের ১৪ শতাংশ মানুষ আরও দ্রুত সময়ের মধ্যেই বুড়ো হয়ে যাবে। অথচ, এশিয়ার উন্নত দেশ জাপানের ক্ষেত্রে এই সময় ছিল ২৪ বছর, বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের বুড়োদের দেশে পরিণত হতে সময় লেগেছিল ৭২ বছর। এ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, জাপান অনেক বেশি দ্রুত উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে গিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে তার ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা সবচেয়ে বেশি তুলেছে। 

ভারতের অবস্থাও প্রায় কাছাকাছি। ২০১৭ সালে ভারতের জনসংখ্যার ৯ দশমিক ৪ শতাংশের একটু বেশি ছিল ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি। একই বছরে অর্থাৎ ২০১৭ সালে বাংলাদেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। জাতিসংঘের হিসাব বলছে, যে গতিতে এই দেশ দুটি এগিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে ভারতের ১৯ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ এবং বাংলাদেশের ২২ শতাংশ মানুষ হবে বুড়ো বা ৬০ বছরের ওপরে।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল কম্বোডিয়া

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষ চলছে

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইংরেজি পরীক্ষা নিয়ে এত হইচই কেন

লোকলজ্জার ভয় ও মার্কিন অর্থায়ন হ্রাস, পাপুয়া নিউগিনিতে এইচআইভি এখন ‘জাতীয় সংকট’

হাসপাতালে মিয়ানমার জান্তার বিমান হামলা, নিহত অন্তত ৩০

স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধের এক বছর পর কী ফল পেল নিউজিল্যান্ড

আফগানিস্তানে ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’ চরিত্র সাজায় চার যুবককে গ্রেপ্তার

জাপানকে ঘিরে চীনা-রুশ যুদ্ধবিমানের চক্কর—অভিযোগ টোকিওর

ইন্দোনেশিয়ায় ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে আগুন, নিহত ২০

থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে সংঘাত, নিহত ৭