ইউক্রেন যুদ্ধে চীন যে ভূমিকা পালন করছে সে সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তিমূলক তথ্য’ ছড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্র বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে এসব বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে।
আজ সোমবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নিয়মিত বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এমন এক সময়ে চীনের পক্ষ থেকে এই দাবি উত্থাপন করা হলো যখন আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত দ্বয়ের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন ইস্যুতে চীনকে উদ্দেশ্য করে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে, বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে।’
এর আগে, আজ সোমবার মার্কিন কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য চীনের কাছে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা চেয়েছে। তারই জবাবে চীন এই মন্তব্য করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পরপরই সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে চীনকে অনুরোধ জানিয়েছিল। এই ধরনের অনুরোধ নতুন নয়।
এ দিকে, চীন রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেন আক্রমণের জন্য মস্কোকে সরাসরি দোষারোপ করতে অস্বীকার করেছে। পক্ষান্তরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য বারবার ন্যাটোর ‘পূর্বমুখী সম্প্রসারণকে’ দায়ী করেছে।
অপরদিকে, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ শেষ করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয় দেশের আলোচকেরা জানিয়েছেন তাঁরা শিগগিরই একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন।