ভারতের রাজস্থান রাজ্যে জয়পুরের একটি বেসরকারি স্কুলে এক শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ৯ বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে মনে হলেও স্কুলের ভূমিকা ও পরিস্থিতি ঘিরে সন্দেহ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি রেলিং বেয়ে ওপরে উঠে ঝাঁপ দিচ্ছে। ওই সময় অন্য শিক্ষার্থীরা আশপাশে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যাচ্ছিল। প্রায় ৪৭ ফুট ওপর থেকে পড়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়।
মনসরোবর থানার হাউস অফিসার (এসএইচও) লাখান খাতানা ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, নীরজা মোদি স্কুলের চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পর আমায়রা (৯) নামের ওই ছাত্রীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় লক্ষ করে। কর্মকর্তারা স্কুলে পৌঁছানোর পর দেখেন, যে জায়গাটিতে মেয়েটি পড়েছিল, স্থানটি পরিষ্কার করা হয়েছে, সেখানে রক্তের কোনো দৃশ্যমান দাগ ছিল না। বিষয়টি স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
মেয়েটির বাবা-মা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘সন্দেহজনক মৃত্যু’র অভিযোগ এনে একটি এফআইআর করেছেন। তাঁরা শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভূমিকা নিয়ে পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন—স্কুলের ভেতরে এমন একটি ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? আমায়রা তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল।
ঘটনার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর পরিবার থানায় এফআইআর করে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের নীরবতা ও অসহযোগিতাও এ ঘটনাকে ঘিরে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার রাম নিবাস শর্মা গণমাধ্যমকে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে যোগাযোগ করেনি এবং অধ্যক্ষ ইন্দু দাভের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেও রাজি হয়নি। তিনি বলেন, ‘তারা শিক্ষা দপ্তরকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে। অধ্যক্ষের প্রতিনিধি আমাদের ফোনকলও ধরেননি।’
আরও খবর পড়ুন: