হোম > বিশ্ব > আফ্রিকা

কঙ্গোতে জেল পালানো কয়েদিদের নিয়ে আতঙ্ক, চলছে ‘মব জাস্টিস’

মুঞ্জেনজেকারাগারে অগ্নিকাণ্ড। ছবি: এএফপি

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি)। দেশটির পূর্বাঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু করেছে রুয়ান্ডা সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম-২৩। দেশটির সেনাবাহিনী আর বিদ্রোহীদের সংঘাতে হুমকির মুখে পড়েছে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের জীবন। সেই আতঙ্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জেল পলাতক দুর্ধর্ষ অপরাধীরা।

সংঘাত শুরুর পর থেকে দেশটির চারটি কারাগার থেকে হাজার হাজার কয়েদি পালিয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া গোমা শহরের মুঞ্জেনজে কারাগার থেকে পালায় ৪ হাজারের বেশি পুরুষ বন্দী। এরপর একের পর এক বুকাভু, কাবারে ও কালেমি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যায় বহু কয়েদি। এসব কয়েদির বেশির ভাগই হত্যা-ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত। এমন পরিস্থিতিতে ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে দিনাতিপাত করছে অঞ্চলগুলোর বেসামরিক নাগরিকেরা।

এর আগে মুঞ্জেনজে কারাগার থেকে বন্দীরা পালানোর সময় নারী বন্দী ধর্ষণের শিকার হওয়া ও আগুনে পুড়িয়ে মারার মতো ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা সামনে আসার পর আতঙ্ক আরও বেড়েছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, কয়েদিদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। যারা পালিয়ে গেছে তারা সাজা ভোগ করছিল। এখন অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে তারা প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। ব্যাপারটি খুবই বিপজ্জনক।

জেল পালানো কয়েদিদের আগ্নেয়াস্ত্র হাতে লোকালয়ে ঘুরতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। পেশেন্ট বিসিমোওয়া নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘একদল কয়েদিকে আমি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখেছি। তারা বিভিন্ন দোকানে ঢুকে লুটপাটও চালিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বুকাভু শহরের কিছু এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ভয়াবহ মাত্রায় বেড়েছে। এসব কিছুর মূলে আছে জেল পালানো কয়েদিরাই। যেকারণে এখন চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে আমাদের। কোথাও একটু স্বস্তি নেই।’

এদিকে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর থেকে গোমা এবং বুকাভু শহরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে পুলিশ বাহিনী। যেকারণে, আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে নিরাপত্তা পরিস্থিতি। যদিও শহর দুটিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিদ্রোহীরা, তবু তাদের ওপর ভরসা করতে পারছে না সাধারণ মানুষ। ফলস্বরূপ আরও বেড়েছে বিশৃঙ্খলা। অপরাধী সন্দেহে বেশ কয়েজনকে মারধর এবং গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের এই মব জাস্টিসের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। গোমা শহরে বিদ্রোহীদের নিয়োগ দেওয়া মেয়র জুলিয়েন কাতেম্বো এনদালিয়েনি বলেন, ‘মব জাস্টিস একটি ঘৃণ্য কাজ। শহরবাসীকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। উত্তেজিত হয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। নিজেদের ব্যক্তিগত আক্রোশ চরিতার্থ করতে এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে অনেকেই।’

জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রাণহানি ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধের নির্দেশ ট্রাম্পের, নেপথ্যে সুদানকেন্দ্রিক আরব বিশ্বের নয়া ভূরাজনীতি

নামিবিয়ার নির্বাচনে আবারও জয়ী ‘অ্যাডলফ হিটলার’

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে ১৭ যুবককে প্ররোচনার অভিযোগ—জ্যাকব জুমার মেয়ের পদত্যাগ

ভোটে পরাজয় টের পেয়ে গিনি বিসাউয়ের প্রেসিডেন্টই কি ঘটালেন সামরিক অভ্যুত্থান

গিনি বিসাউয়ে সামরিক অভ্যুত্থান, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল, প্রেসিডেন্ট বন্দী

এল-ফাশেরে ৩ দিনে ২৭ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আরএসএফ: দারফুরের গভর্নর

১০ হাজার বছর পর জেগেছে ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরি, ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে ছাই

সিয়েরা লিওনে কালো জাদুর নামে নরবলি, নেপথ্যে ক্ষমতার নেশা

দারফুরের করদোফানে আরএসএফকে ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে সুদানি সেনাবাহিনী

নাইজেরিয়ায় ক্যাথলিক স্কুলের ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীকে অপহরণ