হোম > পরিবেশ

উত্তর–পূর্বাঞ্চলে বাড়ছে নদ–নদীর পানি, বন্যার আশঙ্কা

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি

ভারী বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সিলেট শহরের সঙ্গে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট রাস্তা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে কুড়িগ্রামে তিস্তা পারে ভাঙন শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে শুরু হওয়া আকস্মিক ভাঙনে বসতবাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা।

আজ রোববার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ–নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ–নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে এবং আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, যাদুকাটা, ঝালুখালি নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলে দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

গোয়াইনঘাট-সারিঘাট ও সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কের ওপর দিয়ে একাধিক স্থানে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৩১৩টি গ্রামের মধ্যে ১৪৬টি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন ৯ হাজার ৫৫০টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪৮ হাজার ৬০০ জন।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, উপজেলার প্রায় ২৩৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্রায় ৭০০ হেক্টর কৃষিজমি পানিতে নিমজ্জিত। পানি প্রবাহের তথ্য আজ দুপুর ১২টায়—গোয়াইন নদী (গোয়াইনঘাট পয়েন্ট) বিপৎসীমা: ১০.৮২ মিটার, প্রবহমান: ১০.৪৪ মিটার, পিয়াইন নদী (জাফলং পয়েন্ট) বিপৎসীমা: ১৩.০০ মিটার, প্রবহমান: ১১.৬৪ মিটার এবং সারি নদী (সারিঘাট পয়েন্ট), বিপৎসীমা: ১২.৩৫ মিটার, প্রবহমান: ১২.৬২ মিটার রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও স্থানীয় ভারী বর্ষণে গোয়াইনঘাটে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সালুটিকর-গোয়াইনঘাট, রাধানগর-গোয়াইনঘাট সড়কের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ছাড়া গোয়াইনঘাট-সারিঘাট সড়কের বিচ্ছিন্ন অংশে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

শীতে কাঁপছে সারা দেশ ভোগাচ্ছে ঘন কুয়াশা

শীতের প্রকোপ বাড়ছে: ৭ জেলায় ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে কত দিন

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, সতর্ক থাকতে পারেন যেভাবে

মেঘলা ঢাকার আকাশ, কুয়াশার দেখা মিলতে পারে

শীতে জবুথবু, কুয়াশায় দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণ বেড়েছে ঢাকায়, বিপর্যস্ত কায়রো

ঢাকার তাপমাত্রা কমবে

বায়ু দূষণে তৃতীয় স্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি

ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা আবারও ১৬ ডিগ্রির ঘরে

সকালে সূর্যের দেখা নেই, কুয়াশাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ