জামালপুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে রৌমারী বিল। ঋতুর সঙ্গে এই বিলেও দেখা মেলে রূপ বদলের বৈচিত্র্য। বর্ষাকালে জলে টইটুম্বুর চারপাশ, নৌকায় চড়ে ভেসে উপভোগ করতে পারবেন এই বিলের প্রকৃত সৌন্দর্য। এই দর্শনীয় স্থানটি ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে।
মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের শেখ সাদী এলাকায় রৌমারী বিলের অবস্থান। জামালপুর শহরের পাঁচ রাস্তা মোড় থেকে সিএনজি বা অটোরিকশায় ভাড়া ৪৫ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিলের থইথই পানির বুক চিরে চলে গেছে পিচঢালা আধা পাকা সড়ক। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। পড়ন্ত বিকেলে বিলের মাঝখান দিয়ে চলা সড়কপথটি যেন ব্যস্ত হয়ে ওঠে দর্শনার্থীদের আনাগোনায়। সড়কপথে বিশুদ্ধ বাতাস, এই পথটা মোটরসাইকেলে চড়ে চলে যাওয়াটাও বেশ রোমাঞ্চকর।
বিলের বুকে নৌকা নিয়েও ঘুরতে পারবেন। সড়কের পাশেই নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। নৌকাভ্রমণের খরচও বেশ কম। বিলে ঘুরতে গেলে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে গান্ধী আশ্রমে ঘুরে আসতে পারেন। কেননা, গান্ধী আশ্রম এই বিলের পাশেই অবস্থিত। নৌকা কিংবা সড়কপথে মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগবে গান্ধী আশ্রমে পৌঁছাতে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল রহমান বলেন, রৌমারি বিল ১০০ বছরের পুরোনো, এই বিলের পূর্ব নাম ছিল রৌমারি টুপকার চর বিল। এই বিলে শীতের সময় বহু অতিথি পাখি আসত, যা এখন আর দেখা যায় না। চৈত্র-পৌষ-মাঘ মাসে বহু মাছ পাওয়া যেত, বহু দূর-দূূরান্ত থেকে মানুষ এসে মাছ শিকার করত।
বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে মুস্তাকিম রহমান বলেন, `শহর থেকে এখানে ঘুরতে এসেছি, খুব ভালো লাগল। বিকেলে নৌকায় ঘুরে বেড়াতে খুবই ভালো লাগল।'
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বলেন, বিলটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। মির্জা আজম এমপি এই বিলের নকশা প্রস্তুতসহ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঠিক রেখে মেলান্দহের (টুপকারচর) রৌমারি বিলে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।