গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন ঘোষণার সময় টিভির পর্দার সামনে বসে ছিলেন রোজে। ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্ল্যাকপিঙ্ক ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য জিসু, জেনি ও লিসা। টিভিতে ঘোষণা করা হচ্ছিল রেকর্ড অব দ্য ইয়ার বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীদের নাম। একেবারে শেষে এল রোজের নাম। শুনেই আনন্দে ফেটে পড়েন ব্ল্যাকপিঙ্কের সদস্যরা। আর রোজে তো বলেই দিলেন, ‘আমি আমার জীবনকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না! সবকিছু বুঝে উঠতে এখনো সময় লাগছে।’
৭ নভেম্বর ঘোষিত গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন তালিকায় শুধু এক বিভাগে নয়, রোজের নাম উঠে এসেছে তিন বিভাগে। রেকর্ড অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার এবং বেস্ট পপ ডুয়ো/ গ্রুপ পারফরম্যান্স বিভাগে জায়গা পেয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে কে-পপে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন রোজে। তিনিই গ্র্যামিতে মনোনয়ন পাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী শিল্পী।
রোজে এই সাফল্য পেয়েছেন ‘আপাতে’ গান দিয়ে। এতে তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ব্রুনো মার্স। গত বছর প্রকাশ পাওয়া রোজের প্রথম একক অ্যালবাম ‘রোজি’তে ছিল গানটি। প্রকাশের পর থেকেই ইউটিউব থেকে বিলবোর্ডের টপ লিস্ট—সবখানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্থান করে নেয় আপাতে। ফলে রোজে যে এবার গ্র্যামিতে মনোনয়ন পেতে পারেন, এ জল্পনা ছিল বছরজুড়ে। অবশেষে সে ধারণাই সত্যি হয়ে ধরা দিল।
ব্যাড বানি, সাবরিনা কার্পেন্টার, দোয়েচি, বিলি আইলিশ, লেডি গাগা, কেনড্রিক লামারদের পেছনে ফেলে রোজে যদি এবার সত্যিই গ্র্যামি জিতে যান; তাহলে সেটা হবে কে-পপের ইতিহাসে আরেকটি বড় অর্জন।