হোম > শিক্ষা > ক্যাম্পাস

কেমন বাংলাদেশ চাই

একটি সফল আন্দোলনেরপর সবার চাওয়া থাকে, দেশ যেন সুন্দরভাবে এগিয়ে যায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এর সমন্বয়কেরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফারুক ছিদ্দিক কয়েকজন সমন্বয়কের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তাঁরা কেমন বাংলাদেশ চান।

নীতিভিত্তিক রাষ্ট্র চাই, নেতাভিত্তিক নয়
আমরা রাষ্ট্রের একটা সংস্কার চাই। যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করতে চাই। নীতির ঊর্ধ্বে কেউ উঠতে পারে না। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক খাতকে দ্রুততম সময়ে টেকসই উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হবে। বিচার বিভাগেরও সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচনী ব্যবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি। মোটাদাগে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। গণমুখী ও মৌলিক নাগরিক সেবাগুলো নিশ্চিত হলে একটি সমৃদ্ধ দেশ হবে আমাদের। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে, দ্রুততম সময়ে এ বিষয়গুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে চাই।

হাসনাত আব্দুল্লাহ, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

প্রধান লক্ষ্য হোক রাষ্ট্রের সংস্কার
এমন দেশ চাই যেখানে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ—সবাই নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে সর্বোচ্চ মর্যাদা পাবে। সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানুষকে সম্মান করে সর্বোচ্চ সেবা দেবেন। একই সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিমূলক এবং ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ দেখতে চাই। রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টর ভেঙে পড়েছে। এই সেক্টরগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অসৎ, চাটুকার এবং অযোগ্যদের বহিষ্কার করে সেখানে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে হবে। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা খাত ঢেলে সাজাতে হবে। এই ৩টি খাতে উন্নতি করতে পারলে দেশ পাল্টে যাবে। আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে রাষ্ট্রের সংস্কার। এর মাধ্যমে এমন একটি জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যেখানে সরকার বদল হলেও দেশে তার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাসহ রাষ্ট্র সংস্কার করলে সমতাভিত্তিক দেশ গড়া সম্ভব হবে। 

উমামা ফাতেমা, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

স্বাবলম্বী দেশ দেখতে চাই
নতুন বাংলাদেশকে স্বাবলম্বী হিসেবে দেখতে চাই। সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়া দুর্নীতির অবসান দেখতে চাই। সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের স্বীকৃতি ও অধিকার রক্ষা করা হবে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জায়গা থাকবে। দেশীয় শিল্প পুনরুদ্ধার করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় কার্যকরী পরিবর্তন আনতে হবে। গবেষণার সুযোগ ও বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

মাইশা মালিহা, সহসমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল সিস্টেমের পরিবর্তন
যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ—এ সিস্টেম বদল করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে হবে। আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা সুনিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবর্তন করতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে উন্নয়ন ও মাঠের পরিস্থিতি সমুন্নত থাকবে। আমরা আমদানিনির্ভর না হয়ে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চাই। পাশাপাশি সেক্টরভিত্তিক কাজের প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারি ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির ফলে অছাত্ররা ছাত্রসংগঠনে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনো অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে পারে না। আমরা এখানেও পরিবর্তন চাই। 

আবদুল কাদের, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

সংস্কারে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা থাকতে হবে
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। দেশের প্রতিটি ইনস্টিটিউট হবে স্বাধীন ও রাজনীতিমুক্ত। বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। সেখানে সবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা শিক্ষাব্যবস্থার এমন পরিবর্তন চাই, যার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদাহরণ হয়ে উঠবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার চাই। তারা যেন রাজনৈতিক নেতাদের আজ্ঞাবহ হয়ে না থাকে। দেশের এসব সংস্কারমূলক কাঠামোর মধ্যে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে হবে। 

আব্দুল হান্নান মাসুদ, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

শিক্ষার্থীদের বিজয় দিবসের ভাবনা

দিনে রাজমিস্ত্রির কাজ রাতে পড়াশোনা

২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছে বাংলাদেশ দল

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আইইইই এসটিআই ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন

জবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার

এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা ২০২৫-এ সেরা আইইউবি থিয়েটার

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আইইইই এসটিআই ৫.০ কনফারেন্স ২০২৫ শুরু

‎জবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট গ্রহণ ২৪ ডিসেম্বর