হোম > শিক্ষা

কিউওয়ান র‍্যাংকের গবেষণাপত্র তৈরির পদ্ধতি

সাব্বির হোসেন

গবেষণার জগতে পা রাখার পর প্রায় সবার স্বপ্ন থাকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণা প্রবন্ধ (রিসার্চ পেপার) প্রকাশ করার। তবে শুধু প্রবন্ধ প্রকাশ নয়, অনেকের লক্ষ্য থাকে কিউওয়ান র‍্যাংকের জার্নালে নিজের গবেষণাকাজ ছাপানো—যা একাডেমিক ও প্রফেশনাল জীবনে অসাধারণ একটি অর্জন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কীভাবে সেই উচ্চমানের কিউওয়ান জার্নালের জন্য গবেষণাপত্র প্রস্তুত করবেন?

কিউওয়ান (Q1) জার্নাল কী?

একটি জার্নালের মান ও প্রভাব বোঝাতে ‘Quartile’ বা চারভাগে বিভাজন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। Scopus এবং Web of Science-এর মতো ডেটাবেসগুলো CiteScore, SJR (SCImago Journal Rank) বা Impact Factor-এর ভিত্তিতে জার্নালগুলোকে Q1, Q2, Q3 এবং Q4—এ চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে। এর মধ্যে কিউওয়ান মানে হলো ওই বিষয়ের শীর্ষ ২৫ শতাংশ জার্নালের মধ্যে একটি, যেখানে গবেষণাপত্র ছাপাতে পারা সত্যিকার অর্থেই এক বড় সাফল্য।

গবেষণার বিষয় নির্বাচন

কিউওয়ান র‍্যাংকের জার্নালে গবেষণা ছাপাতে চাইলে প্রথমেই দরকার সময়োপযোগী ও মৌলিক বিষয় নির্বাচন। উদ্ভাবন, টেকনোলজি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—এ সব চলমান ও বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে গবেষণার চাহিদা বেশি। গবেষণার বিষয় নির্বাচনের সময় জার্নালের স্কোপ ও সাম্প্রতিক প্রকাশিত পেপারগুলো পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।

গভীর সাহিত্য পর্যালোচনা

কিউওয়ান জার্নালগুলোতে সাহিত্য পর্যালোচনার মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কেবল রেফারেন্স দিলেই হবে না; বরং পূর্ববর্তী গবেষণার সীমাবদ্ধতা ও ফাঁকগুলো চিহ্নিত করে নিজের গবেষণার জায়গা তৈরি করতে হবে। একটি মানসম্মত লিটারেচার রিভিউ দেখিয়ে দেয় যে, আপনি গবেষণাক্ষেত্রটি ভালোভাবে বোঝেন।

শক্তিশালী গবেষণা পদ্ধতি

উন্নত গবেষণা পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করেই কিউওয়ান র‍্যাংকের পেপার তৈরি হয়। আপনার ব্যবহার করা ডেটা, নমুনা পরিমাপক, বিশ্লেষণ পদ্ধতি—সবকিছু নির্ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। এটি হতে পারে SPSS, R, Python, Stata বা অন্য কোনো টুলের মাধ্যমে।

ফলাফল ও বিশ্লেষণ

ফলাফল উপস্থাপনের সময় শুধুই পরিসংখ্যান নয়, তার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণও থাকতে হবে। পূর্ববর্তী গবেষণার সঙ্গে তুলনা, নীতিগত বা ব্যবহারিক পরামর্শ, ভবিষ্যৎ গবেষণার দিকনির্দেশনা ইত্যাদি আলোচনায় যোগ করা জরুরি।

রেফারেন্সিং ও একাডেমিক ভাষা

কিউওয়ান জার্নালে জমা দিতে হলে নির্ধারিত রেফারেন্স স্টাইলে (APA, Harvard, Chicago, ইত্যাদি) লিখতে হয়। রেফারেন্স ম্যানেজমেন্ট টুল যেমন Zotero, Mendeley, EndNote ইত্যাদি ব্যবহার করলে কাজ সহজ হয়। একই সঙ্গে একাডেমিক ইংরেজি হওয়া চাই পরিষ্কার, প্রুফরিডেড ও জটিল শব্দের ভারমুক্ত।

লেখার মান এবং গ্রহণযোগ্যতা

যেকোনো কিউওয়ান জার্নালে লেখার আগে সংশ্লিষ্ট জার্নালের গাইডলাইন ভালোভাবে পড়া জরুরি। প্রতিটি জার্নালের রয়েছে নিজস্ব submission guideline, plagiarism policy, formatting structure, referencing style—যা অমান্য করলে অনেক ভালো পেপারও রিজেক্ট হয়ে যায়।

কিউওয়ান র‍্যাংকের গবেষণা প্রবন্ধ তৈরি একটি ধৈর্য ও দক্ষতার কাজ। এটি রাতারাতি সম্ভব নয়, তবে নিয়মিত চর্চা, সংশ্লিষ্ট গবেষণাগ্রন্থ পড়া, পরামর্শ গ্রহণ এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এটি অবশ্যই অর্জনযোগ্য। মনে রাখতে হবে, গবেষণার লক্ষ্য শুধু প্রকাশ নয়, বরং নতুন জ্ঞান তৈরি করা। যার প্রভাব সমাজে ও জ্ঞান-বিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী হয়।

তথ্যসূত্র: স্কিম্যাগো ডটকম ও এলসেভিয়ার ডটকম

বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

জাবির ‘বি’ ইউনিটে চান্স পেতে যা করতে হবে

মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে সম্পূর্ণ অর্থায়িত গবেষণা বৃত্তি

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

জাবির ‘সি’ ইউনিটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

ব্যাংকে ব্যবহৃত ৮টি ইংরেজি বাক্য (পর্ব-৫)

বদলে যাচ্ছে আইইএলটিএস পরীক্ষার নিয়ম, নতুন পদ্ধতিতে যা থাকছে