আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও অবৈধভাবে আটক করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে ইউটিএলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস ও সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন এ ঘটনার নিন্দা জানান।
ইউটিএল নেতারা বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় চলমান অবরোধ ভাঙতে ৫০টিরও বেশি জাহাজ নিয়ে গঠিত ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে তিউনিসিয়া, ইতালি ও গ্রিস থেকেও জাহাজ যুক্ত হয়। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলাসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ৪৪টিরও বেশি দেশের হাজারো সচেতন নাগরিক এতে অংশ নেন।
কিন্তু গাজার উপকূলে পৌঁছালে ইসরায়েলি বাহিনী বহরটির ওপর আগ্রাসী হামলা চালায় এবং ইতিমধ্যে ৯টির অধিক জাহাজ জোরপূর্বক আটক করে নিয়ে যায়। মানবিক সহায়তাবাহী নৌবহরের ওপর এ হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
নেতারা জাতিসংঘ, ওআইসি ও বিশ্বশক্তিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব হলো ইসরায়েলকে এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা এবং ফ্লোটিলা সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশেষত মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রত এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিক নিন্দা প্রকাশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইউটিএল নেতারা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশগ্রহণকারী সব মানবিক সহায়তাকারীর প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেন এবং তাঁদের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন। একই সঙ্গে নৌযানে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সাহায্যকর্মী রুহি লোরেনসহ সব মানবাধিকারকর্মীকে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সম্পাদন শেষে নিরাপদে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।