করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন। এ অবস্থায় নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে ক্যাম্পাসের আশপাশে অবস্থানরত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে (বাস) বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম বলেন, থিসিসের কাজে খুলনায় এসেছিলাম কিন্তু এখন তো আটকে গেছি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়ি যেতে পারছি না। ইতিমধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছাতে তাদের নিজস্ব বাসের ব্যবস্থা করেছে। আমাদের কর্তৃপক্ষ যদি এ রকম সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আমরা খুবই উপকৃত হবো।
পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, গত ঈদের সময় করোনার প্রকোপ অনেকটা কমে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসে। গ্রামের বাড়িতে পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় এবং টিউশনের কারণে এলাকা থেকে চলে আসি। হঠাৎ করেই প্রশাসন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং সেই সাথে দেশের সকল পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এই লকডাউনে বাসায় যাওয়া অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে বিভাগীয় শহরগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে তাহলে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকার হবে।
আরেক শিক্ষার্থী শাহীন আলম বলেন, ঈদের আগে বাড়ি যেতে পারব কি পারব না এটা নিয়ে সংশয়ে আছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি আমাদেরকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যদি ভাড়া দিয়েও যেতে হয় তাও দিতে রাজি। আমরা যেন বাড়ি ফিরতে পারি সে ব্যবস্থা যেন কর্তৃপক্ষ আমাদের করে দেয়।
এ বিষয়ে খুবির ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, ১৪ তারিখের আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। খুলনা জেলা বর্তমানে করোনার হটস্পট জোনে আছে। এই অবস্থায় থেকে আমরা কতটুকু কি করতে পারব সে বিষয়ে নিশ্চিত নই।
ইতিমধ্যে কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার এই বিষয়ে কথা হয়েছে তাছাড়া আমরাও আলোচনা করছি। লকডাউন তুলে নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
খুবির পরিবহন পুলের পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ জুলফিকার হোসাইন বলেন, এগুলো তো আমাদের হাতে নেই। আমরা পরিবহন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব।