হোম > শিক্ষা

আইইএলটিএসে লিসেনিংয়ে ভালো করার কৌশল

মমতাজ জাহান মম

ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য স্বীকৃত মাধ্যম হলো আইইএলটিএস। মূলত চারটি মডিউলের মাধ্যমে এই ভাষার দক্ষতা যাচাই করা হয়। পুরো বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই টেস্ট দিয়ে থাকেন। আইইএলটিএসের প্রতিটি মডিউলের তুলনায় লিসেনিং কিছুটা সহজ। বলা যায়, একজন শিক্ষার্থী নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে এই মডিউলে ভালো স্কোর তুলতে পারবেন।

লিসেনিং টেস্টের ধরন
লিসেনিং টেস্ট মূলত অডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। অডিওটি ৩০ মিনিটের এবং প্রশ্ন থাকবে ৪০টি। ৩০ মিনিটের মধ্যে এই ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। লিসেনিং টেস্টে মোট ৪টা সেকশন থাকে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টপিক থাকে। যেমন: Gap fill, MCQ, Matching, Diagram, Flow chart. পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীকে একটি ওয়ারলেস মাইক্রোফোন দেওয়া হবে। এরপর পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে অডিওটি পাঁচবার প্লে করে দেখা হবে সাউন্ড ঠিক আছে কি না বা পরীক্ষার্থী ঠিকভাবে শুনতে পারছেন কি না।

নিয়মিত অনুশীলন
লিসেনিংয়ে ভালো করার অন্যতম কৌশল হলো মনোযোগ ধরে রাখা। এটা এমন একটা টেস্ট, যা শিক্ষার্থীকে নিজের জগৎ থেকে ধ্যান-জ্ঞান সরিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য লিসেনিংয়ের অডিওতে হারিয়ে যেতে হবে। অডিওর প্রতিটি শব্দ শিক্ষার্থীদের মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।

অনুশীলনের সহায়ক কিছু মাধ্যম
লিসেনিংয়ে ভালো করতে হলে প্রতিদিন পডকাস্ট শোনার অভ্যাস করতে হবে। অর্থাৎ লিসেনিংয়ের অভ্যাস বাড়াতে হবে। এই লিসেনিং টেস্টে যেহেতু কান খাড়া করে ওয়ার্ডগুলো শুনতে হবে এবং একই সঙ্গে উত্তর লিখতে হবে; তাই একজন শিক্ষার্থীকে দৈনিক ২০-২৫ মিনিট ইংলিশ কথোপকথন শুনে অভ্যস্ত হতে হবে। পডকাস্টগুলো শোনার জন্য Google Podcast App ডাউনলোড করা যেতে পারে।

এ ছাড়া ইউটিউবে BBC Learning English, BBC Earth, Ted Ed, Ted Talk, National Geography, Goodfellas প্রভৃতি চ্যানেল থেকে অডিও শোনা যেতে পারে।  পডকাস্ট শোনার সময় ইংরেজির অর্থ বোঝার কোনো প্রয়োজন নেই। একজন শিক্ষার্থীকে শুধু কোন ওয়ার্ড কীভাবে বলছে, এটা খেয়াল রাখতে হবে। এতে প্রতিটি ওয়ার্ডের উচ্চারণ কীভাবে সাউন্ড করছে, তার সঙ্গে পরিচয় হওয়া সহজ হবে। 

অনুশীলনে হতে হবে নিয়মিত
প্রতিদিন পডকাস্ট শোনার পাশাপাশি লিসেনিংয়ে ভালো করতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে নিয়মিত দুটি লিসেনিং টেস্ট দিতে হবে। কেমব্রিজের বই থেকে প্রতিদিন সকালে ও রাতে দুটি লিসেনিং টেস্ট দেওয়া প্রয়োজন। টেস্ট দেওয়ার পর কতগুলো কারেক্ট হলো, সেটার উত্তর মিলিয়ে দেখতে হবে এবং অবশ্যই যেগুলো ভুল হবে, সেগুলো সময় নিয়ে যাচাই করতে হবে। কেন ভুল হলো, কী কারণে সঠিক উত্তর করা যায়নি—এগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে।

কেমব্রিজের বইয়ের শেষে অডিও স্ক্রিপ্ট দেওয়া থাকে। এ জন্য একজন শিক্ষার্থী আবার অডিও স্ক্রিপ্ট দেখে অডিও প্লে করে শুনতে পারেন ও সঠিক উত্তর কেন হলো না, এটা বুঝতে পারেন। এভাবে উত্তর মেলানোর পাশাপাশি বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রতিদিন খাওয়া-ঘুমের মতো লিসেনিং প্র‍্যাকটিস আপনাকে প্রতিদিন করতে হবে। যদি একদিন করেন আর দুদিন গ্যাপ দেন, তাহলে কিন্তু হবে না।

যে ভুলগুলো করা যাবে না
লিসেনিংয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী যে ভুল করে থাকেন, তার মধ্য একটি হচ্ছে বানান। লিসেনিংয়ে কোনোভাবে বানান ভুল করা যাবে না। তাহলে একটি সঠিক উত্তর করেও বানান ভুলের কারণে মার্কস কাটা যাবে। এ জন্য বিভিন্ন ভোকাবুলারির সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। বানান জানা ও সেই ওয়ার্ডগুলোর উচ্চারণ শুনে বানান জেনে রাখতে হবে।

আরেকটি হচ্ছে লিসেনিং টেস্টে প্রতিটি সেকশন শুরুর আগে প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়ার জন্য ৩০ সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়। এই সময় আপনাকে প্রশ্ন পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, উত্তরটি কত ওয়ার্ডের মধ্যে লিখতে হবে, এটা প্রশ্নের ওপরেই লেখা থাকবে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আর যে বানানগুলো একটু কঠিন ও মনে থাকছে না, সেগুলো আলাদা নোটপ্যাডে লিখে চর্চা করতে হবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ

উচ্চশিক্ষা কোনো বিশেষ শ্রেণির জন্য নয়, এটি সবার অধিকার

পাঠকবন্ধুর মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন

উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল: স্বর্ণ রৌপ্য ব্রোঞ্জসহ ৭ অ্যাওয়ার্ড জয়

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা: চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানে বাংলাদেশি মিথিলার পথচলা

কৃষক বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন উর্মি

ব্যাংকে ব্যবহৃত ৮টি ইংরেজি বাক্য (পর্ব-৬)

জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত মেক্সট বৃত্তি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি