৪৪তম বিসিএস
তরুণ-তরুণীদের অন্যতম স্বপ্নের গন্তব্য বিসিএস ক্যাডার। এর মধ্যে প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্র—এই তিনটি ক্যাডারে আগ্রহ বরাবরই বেশি। সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে। গত ৩০ জুন রাতে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে বিভিন্ন ক্যাডারে মোট ১ হাজার ৭১০টি শূন্য পদের বিপরীতে ১ হাজার ৬৯০ জন প্রার্থীকে সাময়িকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আলোচিত এই তিন ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন যাঁরা, চলুন দেখে নেওয়া যাক:
প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম ফরহাদ হোসেন
প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন। তিনি ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়ে তিনি গড়েছেন অনন্য দৃষ্টান্ত।
পুলিশ ক্যাডারে প্রথম শরিফ খান
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোক-প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শরিফ খান পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়ও প্রথম দিকে রয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের অনুমোদন না হওয়ায় এখনো তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হয়নি।
পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম শামীম শাহরিয়ার
ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) সাবেক শিক্ষার্থী শামীম শাহরিয়ার পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন। তিনি কে-৭৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। ইতিমধ্যে তিনি এমআরসিপি পার্ট-১ সম্পন্ন করেছেন। রাজধানীর সেন্ট জোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি।
পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের ২০টি পদে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় এসব পদে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া যায়নি। প্রয়োজনে ফলাফল সংশোধনের অধিকার কমিশন সংরক্ষণ করে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যাঁরা কোনো ক্যাডারে মনোনয়ন পাননি, তাঁদের নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের বিষয়ে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সুপারিশের প্রক্রিয়া চলবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে আবেদন করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা দুই দফা স্থগিত হয়—প্রথমে জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের কারণে, পরে ২৫ আগস্ট সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে। ততদিনে প্রায় ৪ হাজার প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে কমিশন পরিবর্তনের পর আগের মৌখিক পরীক্ষাগুলো বাতিল করে নতুন করে সব প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই এবার ১ হাজার ৬৯০ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
ফল দেখতে ক্লিক করুন এখানে
আরও খবর পড়ুন: