হোম > শিক্ষা

উচ্চশিক্ষায় সুপারিশপত্র লেখার নিয়ম

শাহরিয়ার আবরার হিমেল

শাহরিয়ার আবরার হিমেল

সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) হলো এমন একটি নথি, যা আবেদনকারী শিক্ষার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতা ও গুণাবলির স্বীকৃতি প্রদান করে। এটি সাধারণত প্রার্থীর শিক্ষক, সুপারভাইজার বা মেন্টর লিখে থাকেন। সুপারিশপত্র আবেদনকারীর একাডেমিক, পেশাগত বা ব্যক্তিগত প্রোফাইলকে সমর্থন করে এবং প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কাছে তাঁর যোগ্যতা তুলে ধরে। উচ্চশিক্ষায় সুপারিশপত্র লেখা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওবারলিন কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবরার হিমেল।

সুপারিশপত্রের গুরুত্ব

একটি শক্তিশালী সুপারিশপত্র আপনাকে অন্যান্য আবেদনকারীর চেয়ে আলাদা করতে পারে। এটি আবেদনকারীর যোগ্যতা প্রমাণ করে এবং তাঁর পেশাগত বা একাডেমিক দক্ষতার ওপর বিশ্বাস বাড়ায়। অ্যাডমিশন কমিটি বা নিয়োগ কমিটিকে আবেদনকারীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।

সুপারিশপত্রের ধরন

» একাডেমিক সুপারিশপত্র: যেসব সুপারিশপত্র শিক্ষক অধ্যাপক বা একাডেমিক পরামর্শক লেখেন। এটি মূলত শিক্ষার্থীর একাডেমিক দক্ষতা, গবেষণার যোগ্যতা ও শেখার আগ্রহ তুলে ধরে।

  • পেশাগত সুপারিশপত্র: যেসব সুপারিশপত্র কোনো ম্যানেজার, সুপারভাইজার বা সহকর্মী লেখেন। এটি কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা, নেতৃত্বের ক্ষমতা ও পেশাগত যোগ্যতা বোঝাতে সাহায্য করে।
  • ব্যক্তিগত সুপারিশপত্র: বন্ধুবান্ধব, পারিবারিক সদস্য বা ব্যক্তিগত পরিচিত লোক দ্বারা লেখা সুপারিশপত্র। এটি ব্যক্তির চারিত্রিক গুণাবলি ও নৈতিকতা তুলে ধরে।
  • গবেষণা/প্রকল্প সুপারিশপত্র: গবেষণার সুপারভাইজার বা প্রজেক্ট মেন্টর লিখে থাকেন। এতে গবেষণার পদ্ধতি, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও সৃজনশীল চিন্তা তুলে ধরা হয়।

সুপারিশপত্র লেখার যথাযথ সময়

ডেডলাইনের দু-তিন মাস আগে কাউকে অনুরোধ করা সবচেয়ে ভালো। ডেডলাইনের এক মাসের কম সময় আগে অনুরোধ করলে লেখকের জন্য এটি চাপের কারণ হতে পারে। আপনার আবেদন পুরোপুরি প্রস্তুত না হলেও অনুরোধ করুন। তাঁদের জানাতে পারেন, কেন আপনি মনে করেন, তাঁরা আপনার জন্য আদর্শ সুপারিশকারী। সময়মতো কাজটি সম্পন্ন করার জন্য স্মরণ করিয়ে দিন। সুপারিশ চাওয়ার আগে আপনার শিক্ষক বা মেন্টরের সঙ্গে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন।

নিজে সুপারিশপত্র সাজান

  • গল্প ব্যবহার করুন, বিশেষণ
  • নয়: গুণাবলির গল্প উল্লেখ করুন, যা আবেদনকারীর ব্যক্তিত্ব ও কাজের প্রতি উৎসর্গ তুলে ধরে।
  • ব্যাকরণ ও বানান যাচাই করুন: গ্রামারলি বা অনলাইন টুল ব্যবহার করে ব্যাকরণের ত্রুটি ঠিক করুন।
  • পেশাদার ভাষা ব্যবহার করুন: লেখা যেন প্রাসঙ্গিক ও পরিষ্কার হয়।
  • লেখকের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন: আপনার লেখকের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন এবং তাঁরা কোন কাজের মাধ্যমে আপনার দক্ষতা দেখেছেন, তা উল্লেখ করুন।

সুপারিশপত্রে যে বিষয়গুলো থাকবে

  • লেখকের পরিচয়: লেখক কেমন পেশাগত অবস্থানে আছেন এবং আপনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী।
  • আপনার গুণাবলি ও দক্ষতা: আপনার কাজের মান, দক্ষতা ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনার উদাহরণ।
  • বিশেষ প্রাসঙ্গিকতা: প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে আপনার দক্ষতার সম্পর্ক।
  • উপসংহার: লেখকের ব্যক্তিগত মতামত এবং আপনার ভবিষ্যৎ সাফল্যের প্রতি তাঁদের আস্থা।

সুপারিশপত্র তৈরিতে পরামর্শ

কোনো কপি নয়, প্রতিটি সুপারিশপত্রকে প্রাসঙ্গিক রাখুন। এটি অনেক সময় দুজন সমান যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে একজনকে আলাদা করতে পারে। তাই সুপারিশপত্র তৈরিতে যথেষ্ট মনোযোগ দিন এবং আবেদনকারীর যোগ্যতা তুলে ধরার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

৫৫তম মহান বিজয় দিবসে পাঠকবন্ধুর শ্রদ্ধা

জকসু নির্বাচন: প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ছাত্রদলের অর্ঘ্যসহ ৯ শিক্ষার্থী

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

শিক্ষার্থীদের বিজয় দিবসের ভাবনা