ঠাকুরগাঁও শহরের টাঙ্গন নদীর ব্রিজের নিচ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দী এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে একটা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী সে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের টাঙ্গন নদীর জোড়া সেতুর নিচ থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ওই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘আমাদের বাড়ির সাবেক ভাড়াটে গুলজান বেগম তার অন্তরঙ্গ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে মাদ্রাসার মেয়ে চায়। এতে রাজি হয়নি। আমি লেখাপড়া শেষ করে মাদ্রাসার ছাত্রীনিবাসে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ৩টার দিকে ঘরের বাইরে থেকে আমাকে কে বা কারা ডাক দেয়। আমি ঘুম থেকে জেগে ঘরের জানালার কাছে গিয়ে দেখি কয়েকজন যুবক আমার ছবি দেখায়। আমি ছবিগুলো নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা শক্তি প্রয়োগ করে আমাকে ঘরের বেড়া ভেঙে টেনে বের করে। সন্ত্রাসীরা তাৎক্ষণিকভাবে আমার মুখে ওড়না পেঁচিয়ে ধরে। পরে হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে। এর পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’
ওসি আরও জানান, মেয়েটি কাপড় রাখা ট্রাংক থেকে বেশ কিছু প্রেম পত্র পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন পরিদর্শন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন।