ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে নারগুন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে হুমায়ুনের বিচারের দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাতে স্থানীয় এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।
ওই শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শিশুটিকে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির খাবারের লোভ দেখিয়ে তাঁর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। এরপর ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ও শিশুটির মুখ চেপে ধরে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরবর্তী সময়ে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে এ ঘটনা জানায়।
এরপর হুমায়ুনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানিয়ে নালিশ করেন। সুবিচারের আশ্বাস দিলে শিশুটির পরিবার সেখান থেকে চলে আসে। কিন্তু অভিযুক্ত পরে ভুক্তভোগী পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন।
অন্যদিকে শিশুটিরও দিন দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ৪ অক্টোবর দুপুরে শিশুটির পরিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সালমা সুলতানা বলেন, ‘এটি রেপ না। কিন্তু এটি সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট অর্থাৎ যৌন নিপীড়ন। শিশুটির পরিবার চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারে।’
ঘটনার পর থেকে হুমায়ুন পলাতক। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে দলীয়ভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন নারগুন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরেকুল ইসলাম।
এ নিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে আসামি পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।