ভোলার লালমোহনে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। গতকাল সোমবার সকালে লালমোহন বাজারের মিতু বেকারী থেকে চক্রটি ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে ওই দিন বিকেলে মুসলিম হোটেল, আরাফাত হোটেল, আপ্যায়ন হোটেল ও আরজু হোটেল মালিকদের নম্বরেও কল দিয়ে টাকা চেয়েছিল চক্রটি।
প্রতারক চক্রের কবলে পড়া ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালমোহন পৌরসভার লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলামকে আটক করলে তিনি বলেন, আজ সকালে লালমোহন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিচয় দিয়ে পৌরসভার সচিবের মোবাইলে কল দেয় প্রতারক চক্রের এক সদস্য। এ সময় তাঁর কাছ থেকে পৌরসভার লাইসেন্স শাখার কর্মরত ব্যক্তির নাম ও নম্বর নেয় চক্রটি। পরে আমাকে কল দিয়ে নিজেকে লালমোহন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিচয় দেয় ওই প্রতারক। এ সময় বলা হয়, লালমোহন বাজারের কয়েকটি হোটেলের নামে মামলা হয়েছে। ওই সব হোটেলে গিয়ে মালিকের সঙ্গে তাঁকে কথা বলিয়ে দিতে হবে।
মো. মফিজুল ইসলাম আরও বলেন, `প্রতারকের কথামতো বাজারের আরজু হোটেল, মুসলিম হোটেল, আরাফাত হোটেল, আপ্যায়ন ও মিতু বেকারীতে গিয়ে মালিকদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেই। পরে কৌশলে ওই সব হোটেলমালিকদের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। পরে কল দিয়ে টাকা দাবি করে তারা। এরই মধ্যে মিতু বেকারী থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায় চক্রটি।
অন্যদিকে মুসলিম হোটেল, আরাফাত হোটেল, আপ্যায়ন হোটেল ও আরজু হোটেলের মালিকদের বিষয়টি সন্দেহ হলে তাঁরা ভূমি অফিসে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তাঁরা প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, `আমার নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে টাকা দাবি করার অভিযোগ পেয়েছি। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ। পৌরসভার লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম ওই চক্রের প্রতারণার শিকার হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'
মো. জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, `যদি কেউ আমার নাম করে অর্থ দাবি করে, তাহলে তৎক্ষণাৎ বিষয়টি জানানোর অনুরোধ রইল।'