যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে যাত্রীদের ব্যাগ থেকে নিরাপত্তা কর্মচারীদের নগদ অর্থ ও জিনিসপত্র চুরির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের ২৯ জুন ওই কর্মচারীরা অন্তত ৬০০ ডলার ও যাত্রীর ব্যাগে থাকা অন্যান্য জিনিস চুরি করেন। অভিযুক্তরা পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনের (টিএসএ) কর্মী।
বিমানবন্দরের চেকপয়েন্টে ব্যাগ থেকে টাকা–পয়সা ও মালামাল চুরির বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। পরে অভিযুক্ত হিসেবে ২০ বছর বয়সী জসিউ গঞ্জালেজ এবং ৩৩ বছর বয়সী ল্যাবারিয়াস উইলিয়ামসকে শনাক্ত করা হয়েছে।
বিমানবন্দরে চুরির ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কর্মীরা যাত্রীদের ওয়ালেট থেকে অর্থ সরিয়ে নিচ্ছেন। এমনকি ব্যাগগুলো এক্স–রে মেশিনের দিকে যাওয়ার সময় সেগুলো থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নেন তাঁরা। একটি ফুটেজে দেখা যায়, এক কর্মী যাত্রীর ওয়ালেটে হাত দিয়ে টাকা নিয়ে নিজের পকেটে রাখছেন।
ফক্স নিউজের তথ্য অনুসারে, গত জুলাইয়ে এই দুই অভিযুক্ত এবং এলিজাবেথ ফাস্টার নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছে। মায়ামি–ডেড কাউন্টি জেল রেকর্ডস অনুসারে, তাঁদের এখন টার্নার গিলফোর্ড নাইট কারাগারে রাখা হয়েছে।
ফাস্টার ও গঞ্জালেজ যাত্রীদের কাছ থেকে অসংখ্য চুরির অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, তাঁরা দুজন মিলে দৈনিক ১ হাজার ডলার চুরি করতেন।
টিএসএ বলছে, তদন্তকাজ ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ পেশাদার ও নৈতিক আচরণ প্রত্যাশা করে। প্রতিষ্ঠানটি কর্মক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসদাচরণ সহ্য করবে না।