ইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার এখনো এস আলমের মালিকানায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তা জব্দ করলেও শেয়ার লিকুইডেশন করে ব্যাংকের দায় শোধ করছে না। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সচেতন ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ দাবি তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সচেতন ব্যবসায়ী ফোরামের সদস্যসচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সভাপতি আবদুল হক, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আ. ন. ম. আতাউল্লাহ নাঈম, নিউ অটো গ্যালারির স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম আলম, উদ্যোক্তা আল মামুন প্রমুখ।
মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি একটি বিশেষ বাহিনী ব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংক দখল করা হয় এবং পরে পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত আরোপ করে প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমন শর্ত কোম্পানি আইন ও সংবিধানে নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা সরকার, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েছি। ব্যাংকের প্রকৃত মালিকদের শেয়ার ফেরত দিতে হবে।
মো. মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার এখনো এস আলমের মালিকানায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তা জব্দ করলেও কেন শেয়ার লিকুইডেশন করে ব্যাংকের দায় শোধ করা হচ্ছে না, তা বোঝা যাচ্ছে না।
সচেতন ব্যবসায়ী ফোরামের সদস্যসচিব বলেন, এস আলম ব্যাংক দখল করে শুধু নিজের গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর এলসি অনুমোদন দিত, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এলসি বন্ধ করে দেয় এবং টাকা পাচার করে ব্যাংককে কৃত্রিম সংকটে ফেলে। এ ছাড়া অবৈধভাবে ৮ হাজার ৩৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়, যার মধ্যে অনেকে ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করেছেন। এর ফলে ব্যাংকের বছরে ক্ষতি প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, ৭ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্যাংকের অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে। নতুন নিয়োগ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে মেধাবী প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে হবে।