হোম > অর্থনীতি

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার-রেগুলেটরের ত্রুটি: অর্থ উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ব্যাংকিং আলমানাকের ৬ষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে এখানকার প্লেয়ার (বড় বড় অংশগ্রহণকারী) ও রেগুলেটরদের (নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ) অনেক দোষ বা ত্রুটি আছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। আবার শেয়ার প্রাইস কমে গেলেই আন্দোলন করেন—আমি এর পক্ষে নই।’

আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্যাংকিং আলমানাকের ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে এর চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থসচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার। বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই শিকদার, এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দার রহমান প্রমুখ।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিবিএসকে (পরিসংখ্যান ব্যুরো) বলা হয়েছে—তথ্য যা আছে, তাই প্রকাশ যেন হয়। এখানে কারচুপির কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজার অবস্থাও একই রকমের। পুঁজিবাজারের শেয়ার প্রাইস কমে যাচ্ছে বলেই চেয়ারম্যানকে রিমুভ করো—বলে মিছিল হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে অনড়, বলেছি—থাকো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এই শেয়ার মহানন্দে কিনছেন। ন্যূনতম কোনো মূল্য নেই, এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এ জন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ (ত্রুটি) আছে। আমি মনে করি এটা প্রচার করা দরকার।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু মূল্যায়ন হয় না। বিগত ১৫ বছরের তথ্যবিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। মূল্যস্ফীতি, জিডিপি নিয়ে তথ্যবিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে, আবার নীতিনির্ধারকেরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন।’

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করে, তারা বোঝাতে চান—আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি—আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইনডো করার চেষ্টা করছি, যাতে ব্যবসায়ীরা এক স্থান থেকে সব তথ্য পাবেন। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে না। আরও সুসংহতভাবে তথ্য যদি ম্যানেজমেন্ট করতে না পারি, তাহলে সামনে আরও সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের এই মিথ্যা তথ্যের প্রয়োজন নেই। কারণ, প্রিয় মিথ্যাও যন্ত্রণাদায়ক।’

অর্থসচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘আমরা সেক্টরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা চাই। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্ত এনেছি।’

যশোরের খেজুর রস: লক্ষ্য ১২০ কোটি টাকার গুড় উৎপাদন

ইসলামি ১০ ও সরকারি ৬ ব্যাংক: ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

এনবিআর কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে টাকা দাবি, সতর্কবার্তা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল আরও ৫৭ হাজার টন গম

চট্টগ্রামে ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের হাতে উপহার হস্তান্তর

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল আরও এক মাস

তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ফুটি কার্পাসে নতুন সম্ভাবনা

১ জানুয়ারি কার্যকর: দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল বাড়ল ৫ শতাংশ

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর: ফসল ব্যবস্থাপনায় উত্তরের চার জেলায় কৃষির নতুন প্রকল্প