আমানতকারীদের আরও ৩ কোটি ৭০ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩৯ টাকা ফেরত দেবে পিপলস লিজিং। ৫৮২ জন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে এ অর্থ ফেরত দিতে আজ সোমবার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ। এর আগে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এ পর্যন্ত ১৪ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
পিপলস লিজিংয়ের আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, আদালত গঠিত বোর্ড এরই মধ্যে অনেক কাজ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫৮২ জন ক্ষুদ্র আমানতকারীর টাকা পিপলস লিজিংয় ফেরত দিয়ে দেবে। হাইকোর্ট এটার অনুমতি দিয়েছেন। মানবিক কারণে অল্প পরিমাণে বিনিয়োগকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ৬ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১৯ সালে পিপলস লিজিং অবসায়নের জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই দিনই অবসায়নের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন আদালত। সাময়িক অবসায়ক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান খানকে নিয়োগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে ২০১ জন আমানতকারী পিপলস লিজিং–এর পুনর্গঠন চেয়ে আবেদন করেন।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট পিপলস লিজিং পুনরুজ্জীবিত করতে বোর্ড গঠন করে দেন। এরপর ঋণ খেলাপিদের হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অনেকে হাজির হয়ে ঋণের অর্থ ফেরত দিতে সময় চান।