হোম > অর্থনীতি

সাত বছরে খেলনা রপ্তানি বেড়েছে ৪০০ শতাংশের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ছবি: সংগৃহীত

দেশ থেকে প্লাস্টিকের খেলনা রপ্তানি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ১৫.২৩ মিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭ মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ এই সাত বছরে দেশ থেকে খেলনা সামগ্রী রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০০ শতাংশের বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশের খেলনা ৮৮টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘রপ্তানি বহুমুখীকরণ: খেলনা উৎপাদন শিল্পে উদ্ভাবন এবং রপ্তানির সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

শিল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, দেশে প্রায় ৫ হাজার প্লাস্টিক কারখানা রয়েছে, যার মধ্যে ২৫০টি খেলনা উৎপাদন করছে। মোট প্লাস্টিক রপ্তানির প্রায় ২৮ শতাংশ আয় আসে খেলনা থেকে। অথচ বৈশ্বিক খেলনার বাজার ১০২ বিলিয়ন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ৭৭ মিলিয়ন ডলার।

মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, প্লাস্টিক খাতে বর্তমানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন লোক কর্মরত রয়েছে। আর রপ্তানি হচ্ছে ২৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এই প্লাস্টিক খাতের মাত্র ৫ শতাংশ কারখানা খেলনা তৈরি করছে। মোট প্লাস্টিক রপ্তানির ২৮ শতাংশের কিছু বেশি রপ্তানি আয় আসছে খেলনা থেকে।

স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘খেলনা সামগ্রী রপ্তানির বৈশ্বিক বাজার ১০২.৮ বিলিয়ন ডলার, যেটি ২০৩০ সালে ১৫০ বিলিয়নে পৌঁছাবে। সেখানে এই খাতে আমাদের রপ্তানি মাত্র ৭৭ মিলিয়ন ডলার। এর জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের অনুপস্থিতি, টেস্টিং সুবিধার অপ্রতুলতা, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকারের সীমাবদ্ধতা, ব্যবহৃত কাঁচামালে আমদানি-নির্ভরতা ও আমদানি পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা এবং সহায়ক নীতিমালার অভাবে এই খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।’

এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইটি) মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর বলেন, এলডিসি-পরবর্তী সময়ে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় অন্যান্য খাতের ওপর নজর দিতে হবে। এই লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংশ্লিষ্ট নীতিমালা সহজীকরণ ও বন্ডেড সুবিধা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। ৪০ বছর ধরে তৈরি পোশাক খাতে সহায়তা দেওয়া হলেও এই খাতের সক্ষমতা কতটুকু বেড়েছে, তা নিয়ে চিন্তার সময় এসেছে। তাই খেলনা শিল্পের উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রাপ্তির চাইতে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো এবং পণ্যের উদ্ভাবনী কার্যক্রমে বেশি হারে মনোযোগী হতে হবে।

ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর মার্টিন ডওসন বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত খেলনা পণ্য রপ্তানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এবং ব্রিটিশ সরকার এই খাতে সহযোগিতা করতে বেশ আগ্রহী। বিদ্যমান নীতিমালার সংস্কার ও প্রতিবন্ধকতা নিরসন করা সম্ভব হলে ব্রিটেনে এই খাতের রপ্তানি আরও বহুগুণ বাড়বে। ব্রিটিশ সরকার সম্প্রতি রুলস অব অরিজিনের শর্তাবলি সহজীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের তার দেশে পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণে সহযোগিতা করবে।

বন্ধ সব পোশাক কারখানা, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল: আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা

ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত

যশোরের খেজুর রস: লক্ষ্য ১২০ কোটি টাকার গুড় উৎপাদন

ইসলামি ১০ ও সরকারি ৬ ব্যাংক: ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

এনবিআর কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে টাকা দাবি, সতর্কবার্তা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল আরও ৫৭ হাজার টন গম

চট্টগ্রামে ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের হাতে উপহার হস্তান্তর

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল আরও এক মাস