হোম > অর্থনীতি

সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ বেচারা ও দিশেহারা: ড. জাহিদ হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেবিনেট (উপদেষ্টা পরিষদ) বেচারা ও দিশেহারা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান উপদেষ্টার পরিষদ আন্তরিক, কিছু ক্ষেত্রে সাহসী, আবার বেচারা ও দিশেহারা।’

আজ শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে ‘ম্যাক্রোইকোনমিক চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এই মন্তব্যের ব্যাখ্যায় ড. জাহিদ বলেন, ‘বর্তমানে যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলো দেখেই আমি সরকারকে বেচারা ও দিশেহারা বলছি।’

ইআরএফ আয়োজিত মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক সভায়, বর্তমান দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, কর্মচাঞ্চল্য এবং জনকল্যাণের বিষয়গুলো তুলে ধরনে জাহিদ হোসেন বলেন, বিগত সময়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সব জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। সেই করুণ অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে গত এক বছরে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরেছে। অর্থ পাচার ও ব্যাংকের লোপাট কমেছে। ডলারের মূল্য কমেছে বাংলাদেশের জন্য অনুকূলে এসেছে।

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশে চীন ও ভারত থেকে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১৮৭ কোটি থেকে ২৩২ কোটি ডলার বেশি রপ্তানি আয় আসতে পারে।

তিনি বলেন, ভারতের রপ্তানি পণ্যে দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানির কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ কর যুক্ত হয়েছে। ভারতের ওপর এখন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কার্যকর, যা ব্রাজিল ছাড়া অন্য কোনো দেশের জন্য সর্বোচ্চ। অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা দিয়েছেন, কৃষক ও দেশের স্বার্থের প্রশ্নে তিনি কোনো আপস করবেন না। ভারতীয় সরকারের হিসাব অনুযায়ী, নতুন শুল্কের কারণে প্রায় ৪ হাজার ৮২০ কোটি ডলারের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খেলোয়াড় বদল হয়েছে কিন্তু একই খেলা হচ্ছে। দেশের সর্বত্রই চাঁদাবাজি হচ্ছে।’

অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয় নিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খেলা বদলানোর সংস্কার হয়েছে। কিন্তু গেম চেঞ্জিং সংস্কার হয়নি। সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি। তবে তার সঙ্গে আরও চার শ্রেণির সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। এগুলো হলো—কেবিনেট, প্রশাসন বা আমলা, ব্যবসায়ী এবং নাগরিক সমাজ। এই চার শ্রেণি যৌথভাবে উদ্যোগ নিলে সংস্কার হবেই।’

ইআরএফের সভাপতি দৌলত আকতার মালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

তেল-পেঁয়াজে দাম বাড়তি, সবজিতে ফিরছে স্বস্তি

উত্তরা ব্যাংকের ২৫০তম শাখার উদ্বোধন

টানা চার মাস কমল রপ্তানি আয়

৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিল সিগারেট কোম্পানি

১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা শুরু রোববার

প্রশান্ত মহাসাগরে দুই প্রকল্পের অনুমোদন দিল এডিবি-বিশ্বব্যাংক

এক ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি টাকা জরিমানা

১৪টি বন্ধ পাটকল বেসরকারি খাতে, আরও হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

মেট্রো রেলস্টেশনে ৯টি সুপারস্টোর চালু করবে এমজিআই

জনতা ব্যাংক পিএলসির ৮৬৬তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত