প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা বিজয়ের মাসেও অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাস ডিসেম্বরের ছয় দিনে দেশে এসেছে প্রায় ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকার বেশি। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৪৬৪ কোটি টাকা বেশি। গত বছর ডিসেম্বরের ছয় দিনে এসেছিল প্রায় ৫৯ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
গত বছর শুধু রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করে এক মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসে। রেমিট্যান্স বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রেরণে বিভিন্ন প্রণোদনা, বৈধ পথে টাকা পাঠানোর ওপর উৎসাহ বাড়ানো এবং এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর সক্রিয় ভূমিকা উল্লেখ করা হচ্ছে।
এদিকে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৩৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলার এসেছে। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ে ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বেশি এসেছে। অর্থবছর হিসাবে রেমিট্যান্স আসার প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয় ছিল—জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ, অক্টোবরে ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ও নভেম্বরে এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০২৪–২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্সপ্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল, যা ছিল ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার—আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩–২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স ছিল—জুলাইয়ে ১৯১ দশমিক ৩৭ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ দশমিক ১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০ দশমিক ৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯ দশমিক ৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ ও জুনে ২৮২ কোটি ডলার।