শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে বেনাপোল বন্দরে ১৫ দিন ধরে আটকা পড়ে আছে এক হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চিনিবাহী ৪২টি ভারতীয় ট্রাক। কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ভারত থেকে ৬টি চালানে ৮৪টি ট্রাকে ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি বেনাপোল বন্দরে আসে। এর মধ্য তিনটি চালান সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ মূল্য পরিশোধের পর খালাস হয়। পরে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ তুললে বাকি তিন চালান বন্দরে আটকে পড়ে।
আমদানিকারক সেতু এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছয়টি চালানের মধ্যে তিনটি চালান সরকারনির্ধারিত ট্যারিফ মূল্য পরিশোধ করে খালাস করেছি। কিন্তু সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন হঠাৎ আমদানি মূল্য কম দেখানোর অভিযোগ তোলায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ট্যারিফ মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বাকি তিনটি চালানের চিনি খালাস করতে পারছি না।'
ভারতীয় ট্রাকচালক অমিত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমদানি জটিলতায় ১২ দিন ধরে চিনি নিয়ে বন্দরে আটকে আছি। কবে খালাস হবে কিছুই জানি না।’
বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগের পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতি মেট্রিক টন ৫৭০ ডলারে শুল্ক পরিশোধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ‘লোকসান হবে বলে’ আমদানিকারক চিনি খালাস করছে না।