প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশে অনেক বিনিয়োগ করতে চায়। কোথায় কোথায় করতে পারে সেটা বুঝতে চায়, দেখতে চায়। আমরা তাদের বলেছি, তোমাদেরকে আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেব। যেখানে আয়ারল্যান্ডের বড় বড় কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করবে।’
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভবনে আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কভেনির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খুবই শিগগিরই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি এমওইউ স্বাক্ষর হবে। আমি আশা করি আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডে কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করা যাবে তা দেখতে ব্যবসায়ী ও সরকারের ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী, কর্মকর্তা নিয়ে আয়ারল্যান্ড সফরে যাব।’
বাংলাদেশে পর্যটন খাতে আয়ারল্যান্ডের বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যেহেতু বিভিন্ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়ছে এ ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা চাইলে তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। তারা আজই বাংলাদেশে তাদের একটি দূতাবাস চালু করেছে। আসলে তারা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে খুবই পজিটিভ।’
আয়ারল্যান্ড নিয়ে কেস স্টাডি হতে পারে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ১০টি শীর্ষ ওষুধ কোম্পানির ৯টিই দেশটিতে বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া গুগলসহ দাপুটে আইটি কোম্পানিও বিনিয়োগ করেছে দেশটিতে।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে উভয় দেশ কাজ করছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে ওষুধ, আইটি ও পর্যটন খাতকে গুরুত্ব দিতে চায় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মতো আয়ারল্যান্ডের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যেমন আমাদের উন্নতি হয়েছে, আয়ারল্যান্ডেরও উন্নতি হয়েছে। তারা ইউরোপের সবচেয়ে গরিব দেশ ছিল, এখন তারা সবচেয়ে ধনী দেশের একটি। তারা কীভাবে এটা করল, জানতে চাইলে আমাকে জানাল, আমাদের যেমন বেজা ও বিডা আছে তাদেরও এন্টারপ্রাইজ আয়ারল্যান্ড ও আইডিয়া আয়ারল্যান্ড অথোরিটি, এই দুটির মাধ্যমে বিশ্বে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে নিয়ে আসতে পেরেছে। তারা কীভাবে এত বিনিয়োগ আকৃষ্ট করল সেটা আমাদের জানাতে চায়। এই লার্নিং এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে আমরা বিডা, বেজা থেকে আয়ারল্যান্ডে টিম পাঠাতে পারি।’
আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সিমন কোভিনি বলেন, ‘ব্যবসা, সহযোগিতার অনেক সুযোগ আছে এখানে। এখানে আমরা কাউন্সিল অফিস খুলেছি। অ্যাভিয়েশন, প্রযুক্তি ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে পরস্পরের যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের অনেক কোম্পানি রয়েছে। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’