টানা ৫ কর্মদিবস পতনের পর দুই দিন উত্থান দেখা গেল পুঁজিবাজারে। এর ফলে ৩১ পয়েন্ট হারানোর পর মঙ্গল ও বুধবার মিলিয়ে সূচকে যোগ হলো ১২ পয়েন্ট। তার চেয়েও ইতিবাচক দিক হলো, এক দিন পরেই লেনদেন বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
গতকাল বুধবার দেড় মাসের বেশি সময় পরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ৬০০ কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়েছে। দিনভর হাতবদল হয়েছে ৬৪৫ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট, যা গত ৩৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর, যার পরিমাণ ৭৩৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
অথচ এক দিন আগে মঙ্গলবার সূচক বাড়লেও লেনদেন নেমেছিল ৩৪০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ঘরে। অর্থাৎ এক দিনেই লেনদেন বৃদ্ধি পায় ৩০৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার মতো, যা কিছুটা বিনিয়োগকারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকেই নির্দেশ করে।
হঠাৎ কোন বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করল? এর উত্তরে ঘুরেফিরে আসছে ডিএসইর সদ্য নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ টি এম তারিকুজ্জামানের কথা। আগের দিন এক অনুষ্ঠানে তিনি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে ডিএসইর আরও বেশি ক্ষমতায়ন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের বিষয়গুলো উঠে আসে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, তিনি যে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনার কথা বলেছেন, সেগুলোর সবই সত্য। তাঁর কথায় মানুষ অবশ্যই কিছুটা ভরসা পেয়ে থাকতে পারেন।