হোম > অর্থনীতি

বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার পর ইভ্যালির এমডি ফেসবুকে যা বললেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আর্থিক অনিময়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে অনলাইন কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলকে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই চিঠি অনুমোদনের জন্য আদালতেও যাবে শিগগিরই। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরপরই শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে মো. রাসেল জানান, বিষয়টি তিনি ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন। 
 
ইভ্যালির এই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের লেখা ফেসবুক পোস্টটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো–

 ‘আমি আমার বিদেশ যাওয়া নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি পজিটিভলি দেখছি। বাংলাদেশের সব বড় কোম্পানির সাথে আমার সম্পর্ক। হয়তো আমাকে ভালোবাসার জন্য ওনাদের ভয়ের এই বিষয়টা আমাকে বলতেন না। আমরা বিজনেস করেছি সবার সাথেই। এখন ওনারা আরো বেশি কনফিডেনস পাবে।

এখন আমরা অনেকটাই প্রফিট এ বিজনেস শুরু করেছি। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহকদের টাকা আমাদের হাতে আসার সুযোগ নাই। এ ছাড়া তদন্ত করলেই সবাই দেখবেন পুরাতন অর্ডার কি পরিমান ডেইলি যাচ্ছে। 

বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এ লস হয়েছে, সেটা বিজনেস করেই প্রফিট করে ফেলব এর চেয়ে কম সময়ে। কারণ আমাদের ক্রয় মূল্য বাজার মূল্য থেকে অনেক কম। সরকারের সামগ্রিক কার্যক্রম জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য। 

আমি শুধু একটাই রিকোয়েস্ট করব যে আমাদের তদন্ত বিষয়ে অতি উৎসাহ নিয়ে কেউ কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বলবেন না।আপনাদের রেগুলার কেনাকাটা ইভ্যালি তে করুন। এতেই ইভ্যালির লস এর যৌক্তিকতা আসবে। 

কখনো কোন দেশের মালটিপল ভিসা ছিল না, এখন কোন ভিসা ও নাই এবং কখনো কোন সিটিজেনশীপ এর জন্য এপ্লাই করি নাই। ঘুরতে গিয়েছিলাম কয়েকবার। দেশ আমাদের। আমরা সবাই দেশের জন্যই কাজ করতে চাই। দোয়া রাখবেন।’ 

ইভ্যালির গ্রাহক ও মার্চেন্টদের ৩৩৯ কোটি টাকার হদিস না মেলায় দুদকসহ চার সংস্থাকে তদন্তের জন্য চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দুদক চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ মার্চে ইভ্যালির মোট সম্পদ ৯১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৬ টাকা (চলতি সম্পদ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা) এবং মোট দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। এ সময় গ্রাহকের কাছে ইভ্যালির দায় ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টের কাছে দায় ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকা। গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টদের কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকার মালামাল নেওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ ১ হাজার ৯১৪ টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা।

আরও পড়ুন:

আরও কমেছে পেঁয়াজ আলু ও সবজির দাম

জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের ই-রিটার্ন দাখিলে এনবিআরের হেল্প ডেস্ক

আকাশপথে পণ্য পরিবহনে অফডক চান ব্যবসায়ীরা

আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিএসআরএম স্টিলসের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

রোজার আগে কমেছে খেজুরের আমদানি শুল্ক

২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ডলার

মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ল

রাজধানীতে শুরু হয়েছে চার দিনের আবাসন মেলা

যুব কর্মসংস্থানে ১৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক