হোম > অর্থনীতি

অটেক্সার তথ্য: যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৯ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে চলতি বছরে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, বন্যা ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে টানা তিন মাস পোশাক খাতের উৎপাদন ও রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। দেশটিতে গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ৪৭০ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন দেশের উদ্যোক্তারা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ কম। গত বছরের একই সময়ে দেশটিতে ৫১৮ কোটি ৫১ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সার্বিকভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে। তবে প্রতিযোগী দেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিকারী শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় কমেছে বাংলাদেশের। 

অটেক্সার তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সব মিলিয়ে ৫ হাজার ১৩০ কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। এই আমদানি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ কম।

আগের বছরের এই সময়ে আমদানি মূল্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ হাজার ৩৪৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ তৃতীয় সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানিকারক। তৈরি পোশাকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বাজার হিস্যা এখন ৯ শতাংশ। শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে চীন। তাদের দখলে রয়েছে পোশাকের ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাজার হিস্যা। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ১ হাজার ৬৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে দেশটি, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৯৮ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ চীনের রপ্তানি আয় কমেছে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ। 

মার্কিন বাজারে দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক ভিয়েতনাম। যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ ৫ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ভিয়েতনামই দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তারা জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ৯৫৫ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯৬৫ কোটি ৬২ লাখ ডলার। অর্থাৎ আগের চেয়ে রপ্তানি আয় কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

এ বিষয়ে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুলাই ও আগস্ট আমাদের জন্য বিশেষভাবে কঠিন ছিল। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ক্ষমতার পালাবদলের কারণে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া বাজারমূল্যও তুলনামূলক কম থাকায় রপ্তানি আয় কমেছে।’ 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে চতুর্থ ও পঞ্চম শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের রপ্তানিও কমেছে। ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। তাদের রপ্তানির পরিমাণ ২৬৮ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। অন্যদিকে আট মাসে ভারত রপ্তানি করেছে ৩২১ কোটি ৩২ লাখ ডলারের পোশাক। রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

বন্ধ সব পোশাক কারখানা, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল: আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা

ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত

যশোরের খেজুর রস: লক্ষ্য ১২০ কোটি টাকার গুড় উৎপাদন

ইসলামি ১০ ও সরকারি ৬ ব্যাংক: ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

এনবিআর কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে টাকা দাবি, সতর্কবার্তা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল আরও ৫৭ হাজার টন গম

চট্টগ্রামে ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের হাতে উপহার হস্তান্তর

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল আরও এক মাস