বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে দৃঢ় করতে ব্যবসায়িক খরচ (কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস) কমাতে হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগ সুরক্ষা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুষম বিনিয়োগ, শিপিং খরচসহ সব ধরনের পরিবহন খরচ হ্রাস করতে হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে হয়রানি দূরীকরণে আগামী বাজেটে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
গতকাল শনিবার দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আয়োজিত আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি শুল্ক, আয়কর, মূসক ও অন্যান্য কর সম্পর্কিত প্রস্তাবনা ও সুপারিশ নিয়ে আলোচনার জন্য চেম্বার ও খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনগুলোর প্রধানদের সঙ্গে প্রাক্-বাজেট মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের জাতীয় অর্থনীতি একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ালেও চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যও চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে চলেছে। করোনা-পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং মধ্যপ্রাচ্য সংকট এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশকে জোরদার করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রাসমূহের আলোকে সুষ্ঠু অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমুন্নত রাখতে পর্যায়ক্রমে সুদৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে। সেই আলোকে এফবিসিসিআইয়ের বাজেট প্রস্তাবনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এফবিসিসিআইয়ের আয়কর, আমদানি শুল্ক ও মূসক বিষয়ে মৌলিক প্রস্তাবনাসমূহ নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর, মূসক ও শুল্ক বিষয়ক বাজেট টাস্কফোর্সে আলোচনা হয়েছে।