বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব অনুমোদনের লক্ষ্যে সংস্থাটির বোর্ড সভায় আজ মঙ্গলবার উপস্থাপন করা হচ্ছে। পর্ষদ সভার কার্যসূচি অনুসারে, আজ (১২ ডিসেম্বর) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন বা ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। আইএমএফের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে বর্ধিত ঋণসুবিধা, বর্ধিত তহবিলের সুবিধা এবং স্থিতিস্থাপকতা ও স্থায়িত্বসুবিধা পর্যালোচনা সাপেক্ষে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের প্রথমার্ধে আইএমএফ নির্ধারিত ছয়টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বাংলাদেশ দুটি অর্জন করতে পারেনি। গত অক্টোবরে আইএমএফের বিশেষ প্রতিনিধিদল দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফর করে। এরপর তারা ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করে বোর্ডের কাছে বাংলাদেশের প্রস্তাব উপস্থাপন করে। আইএমএফের মিশনপ্রধান ঋণ ছাড়ের বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন। একই রকম ইঙ্গিত ছিল প্রথম কিস্তির ঋণ ছাড় ইস্যুতে। সেই হিসাবে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া কোনো বাধা নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএমএফ বোর্ড সভায় দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাবটি অনুমোদিত হতে কোনো বাধা নেই। ঋণের দুটি শর্ত পূরণ না করার বিষয়টি সংস্থাটিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বোর্ড বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে। গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। আরও পাঁচ দফায় আসবে অবশিষ্ট অংশ।