২০২০ সালে চিকিৎসা সরঞ্জামাদির ব্যবসা অন্তত ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের শুরু থেকেই চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করে। এর ফলে জরুরি প্রয়োজনের ভিত্তিতে ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর মতো বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি ১৬ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বৈশ্বিক বাণিজ্য সূচকে মেডিকেল পণ্যের শেয়ারের দাম ২০১৯ সালে যেখানে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছিল ২০২০ সালে সেখানে তা ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।
২০২০ সালে পিপিই কিংবা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এতে পিপিইর ব্যবসা ৪৭ দশমিক ২ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে বলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আর এই বছরটিতে চিকিৎসাসংক্রান্ত যত ব্যবসা হয়েছে তার ৫২ শতাংশই হয়েছে ওষুধ রপ্তানির মধ্য দিয়ে।
গেল বছরে সামগ্রিক বাণিজ্যে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল। করোনার প্রভাবে বছরটিতে মালামাল আর সেবা খাতের ব্যবসায় ভিন্ন রকম প্রভাব পড়েছে। এই সময়টিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাবের মুখে পড়েছিল সেবা খাতের ব্যবসা। দেখা গেছে, ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সেবা খাতের ব্যবসা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল, একই সময়ে পণ্য খাতে কমেছিল ২৩ শতাংশ।
২০২০ সালে পণ্য ও সেবা দুই খাত মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যবসা হয়েছে প্রায় ২২ ট্রিলিয়ন ডলারের। ২০১৯ সালের তুলনায় তা প্রায় ১২ শতাংশ কম। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে লকডাউন এবং সেবা খাতসহ অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণেই মূলত এমনটি ঘটেছে।