হোম > অর্থনীতি

অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ পর্যটন মন্ত্রণালয়ের

দেশে অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়ন হলে ভ্রমণপিপাসু লোকদের সঙ্গে প্রতারণা ও বিভিন্ন প্যাকেজ, টিকিট এবং সেবার নামে টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হওয়ার হার কমবে। 

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ৯ জুলাই অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পর্যটন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ (আটাব)। পরে অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, ফেনী, কক্সবাজার, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। 

এই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুরাদ হাসান বেগ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, দেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির সংখ্যা অনেক। বড় শহরগুলোর আনাচে-কানাচে, শপিং কমপ্লেক্সে, মোবাইলের দোকান, কম্পিউটার কম্পোজের দোকান, ট্রেডিং অফিসসহ বিভিন্ন নামের দোকান বা অফিসে অসাধু, নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স বাদে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর ফলে একদিকে বৈধ ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে তারা প্রতিযোগিতায় করছে। অন্যদিকে ভ্রমণপিপাসু লোকদের সঙ্গে প্রতারণা ও বিভিন্ন প্যাকেজ, টিকিট ও সেবার নামে টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া তারা সরকারকে কোনো প্রকার রাজস্ব পরিশোধ করছে না। 

ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া লাইসেন্সবিহীন এ রকম ট্রাভেল এজেন্সির একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে আটাব। লাইসেন্সবিহীন এসব এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২১ আইনটি মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯–এর তফসিলভুক্ত হওয়ায় এই আইনের আওতায় অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 

এদিকে ওই জেলাগুলোতে আরও অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সি থাকলে তার তথ্য জানাতে অনুরোধ করেছে আটাব। গতকাল বুধবার (২ অক্টোবর) আটাবের মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, নিবন্ধনবিহীন অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফের নেতৃত্বে বর্তমান কমিটি। তখন মন্ত্রণালয়কে অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির তালিকাও দেওয়া হয়েছে। এখন তারা অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে। তাই আটাব সদস্যদের কাছে আরও অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির তালিকা থাকলে তা দ্রুত সময়ে আটাব অফিসে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। 

জানতে চাইলে আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন আটাবের প্রায় ৩ হাজার ৬০০ সদস্য রয়েছে। এর বাইরে দেশের আনাচে-কানাচে আরও ৮ থেকে ১০ হাজার অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে। এর মধ্যে আমরা প্রায় ৫০০ এজেন্সির নাম-ঠিকানা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। এসব এজেন্সিতে উড়োজাহাজ টিকিট বিক্রি, ট্যুর প্যাকেজের নামে পর্যটকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়। আশা করি, এখন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকেরা এসব অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করবেন।’

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল আরও এক মাস

তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ফুটি কার্পাসে নতুন সম্ভাবনা

১ জানুয়ারি কার্যকর: দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল বাড়ল ৫ শতাংশ

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর: ফসল ব্যবস্থাপনায় উত্তরের চার জেলায় কৃষির নতুন প্রকল্প

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল যেন গুদামঘর

কক্সবাজারে এমজিআইয়ের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স

ষষ্ঠবারের মতো এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল ডিবিএল গ্রুপ

আরও কমেছে পেঁয়াজ আলু ও সবজির দাম

জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের ই-রিটার্ন দাখিলে এনবিআরের হেল্প ডেস্ক

আকাশপথে পণ্য পরিবহনে অফডক চান ব্যবসায়ীরা